• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

গিনেস রেকর্ড করে সবার দোয়া চাইলেন অংকন


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৩, ০৭:২৩ পিএম
গিনেস রেকর্ড করে সবার দোয়া চাইলেন অংকন

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম অংকন। ‘ফাস্টেস্ট টাইম টু সেটআপ অ্যান্ড টপেল ফাইভ ইরেজার’ টাইটেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে তিনি এ রেকর্ড করেন। অংকন নাট্যকলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে পাঠানো স্বীকৃতিমূলক ই-মেইল বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) হাতে পেয়েছেন অংকন। তার রেকর্ডের এ বিষয়টি গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে বুধবার (২৩ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটি অংকনের কার্যক্রম রেকর্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।

গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, ২ দশমিক ৪৭ সেকেন্ডে পাঁচটি রাবার একটির ওপরে আরেকটি ফেলে জাহিদুল ইসলাম অংকন নতুন এ রেকর্ডটি গড়েন। চলতি বছরের ১৭ মে তিনি এই রেকর্ডের জন্য অনলাইন মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির কাছে আবেদন করেন। বুধবার ই-মেইলে মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি অংকনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অনুভূতি প্রকাশ করে তার নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, “আমার পুরো শরীর থরথর কাঁপছে। পারছি না শুধু হাউমাউ করে কান্না করতে। আপাতত আপনাদের দোয়া চাই। এখন শুধু সার্টিফিকেটের অপেক্ষা।”

আনন্দ প্রকাশ করে অংকন বলেন, “গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মতো সম্মানীয় একটি জায়গায় নিজের নাম লেখাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এই রেকর্ডটি আগে মালয়েশিয়ান এক নাগরিকের ছিল। তার থেকেও কম সময়ে রেকর্ড গড়ে সেটি বাংলাদেশে ছিনিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।”

অংকন আরও বলেন, “করোনাকালীন অলস সময়ে চিন্তা করেছিলাম নতুন কিছু করার। তখন থেকেই বারবার চেষ্টা করি রেকর্ড করার জন্য। অনেকবার চেষ্টার পর আমি সফল হয়েছি। আমার বাবা-মাকে এই গৌরবময় অর্জন উৎসর্গ করতে চাই।”

জাহিদুল ইসলাম অংকনের এই কৃতিত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে অনাবিল আনন্দের মাত্রা যোগ করেছে।

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ছাড়াও অংকন একজন উপন্যাস লেখক। এ পর্যন্ত তার চারটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম উপন্যাস শূন্য ঠিকানা প্রকাশিত হয় ২০২০ অমর একুশে বইমেলায়, এরপর খোঁপার বাঁধন, দখিনা চিঠি এবং হাওয়া যথাক্রমে ২১, ২২ ও ২৩ বইমেলায় প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তার আরেকটি উপন্যাসের কাজ চলমান আছে। 
 

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!