• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্যাম্পাসেই ঈদ করলেন রাবির ১৮৪ শিক্ষার্থী


রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৩, ০৮:৩৮ পিএম
ক্যাম্পাসেই ঈদ করলেন রাবির ১৮৪ শিক্ষার্থী

ঈদের ছুটিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে খোলা আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হল। ঈদের ছুটি কাটাতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছাড়লেও, বাড়ি যাননি কিছু শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসেই ঈদ উদযাপন করছেন তারা।

শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জানান, সর্বমোট ১৮৪ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে আছেন। ক্যাম্পাসেই তারা ঈদ করেছেন।

প্রক্টর বলেন, “পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমসহ ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে আবাসিক হল খোলা রাখা হয়েছে। ১৮৪ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে হলে অবস্থান করছে। এখানেই তারা ঈদ উদযাপন করেছেন। মোট ১৭টি হলের মধ্যে ছেলেদের ১১টি হলের সবগুলোতেই রয়েছে বেশকিছু শিক্ষার্থী আর মেয়েদের ছয়টি হলের মধ্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল এবং রহমতুন্নেসা হল বাদে বাকি চারটি হলে কোনো শিক্ষার্থী নেই।”

রাবি প্রক্টর আরও বলেন, “মতিহার হলে ৭ জন, শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলে ৫ জন, শাহ্ মখদুম হলে ৯ জন, নবাব আবদুল লতিফ হলে ২০ জন, সৈয়দ আমীর আলী হলে ৭ জন, শহিদ হবিবুর রহমান হলে ৩০ জন, মাদার বখশ হলে ৭ জন, শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলে ২০ জন, শহিদ শামসুজ্জোহা হলে ১৫ জন, শহিদ জিয়াউর রহমান হলে ৩৫ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ১৬ জন, রহমতুন্নেসা হলে ৫ জন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ১০ জন এবং মীর আবদুল কাইয়ুম ইন্টারন্যাশনাল ডরমিটরিতে ৭ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। সব মিলিয়ে ১৩টি হল ও ডরমিটরিতে মোট ১৮৪ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন।”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু বছর ধরে ঈদের ছুটিতে আবাসিক হল বন্ধ রাখা হতো। তবে গত বছর পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আবাসিক হল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সামনেই বিসিএস, ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষা আছে। এমন সময়ে বাসায় গেলে প্রস্তুতি বিঘ্ন হতে পারে। এদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী পারিবারিক নানা কারণেও ঈদের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেই থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!