• ঢাকা
  • সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

সচিবের সঙ্গে প্রাথমিকের শিক্ষক নেতারা আবারও বসবেন আজ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০৯:৪০ এএম
সচিবের সঙ্গে প্রাথমিকের শিক্ষক নেতারা আবারও বসবেন আজ

সরকারি আশ্বাসে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে ফের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক নেতারা।

তারা জানিয়েছেন, চলমান কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি একসঙ্গে চলবে। পাশাপাশি সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় অর্থসচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে শিক্ষক নেতারা আবারও চূড়ান্ত বৈঠকে বসবেন।

রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টায় সচিবালয়ে সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষক নেতারা প্রথমে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা। 

বৈঠকে উপস্থিত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছিলেন, বৈঠকে তিনটি প্রধান দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হচ্ছে— সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন, এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির ব্যবস্থা করা। বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আশ্বাস দেয় যে, অর্থ মন্ত্রণালয়কে বিষয়গুলো জানানো হবে এবং  দ্রুততম সময়ে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চলমান কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিচ্ছি। শুধুমাত্র শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচী চলবে।

তবে, এরপরই বিষয়টি নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়। শহীদ মিনারে অবস্থান করা শিক্ষক এবং শিক্ষক নেতারাও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন। 

সবশেষ বিষয়টি নিয়ে রোববার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ সমন্বয়ক মু. মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। কোথাও কর্মবিরতি স্থগিতের কোনো পোস্ট দিইনি। কেউ ভুলভাবে প্রচার করে থাকতে পারে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

তিনি আরও বলেন, সোমবার লক্ষাধিক শিক্ষক কেন্দ্রীয় অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। শিক্ষকদের ঐক্য ও উপস্থিতিই আমাদের শক্তি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।

এর আগে শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে বহু শিক্ষক আহত হন। পরে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং আজ (রোববার) থেকে সারাদেশের প্রায় ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু হয়। এতে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক পাঠদান থেকে বিরত থাকেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। কর্মবিরতি শুরুর পর থেকে এসব বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করলেও সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড ১৩তম থেকে ১২তম করার প্রস্তাব দেয়। এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে শিক্ষকরা আন্দোলনে নামেন।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!