এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন স্বাপেক্ষে পিইসি-ইইসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মনসুরুল আলম বলেন, “পিইসি পরীক্ষা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রস্তাবে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করার বিষয়টি উল্লেখ ছিল। সে হিসেবেই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।”
শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরো বলেন, “বর্তমানে পরিস্থতি স্বাভাবিক আছে। এ অবস্থায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব এবং সেটার ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীরা পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে।”
এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছিল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম বিবেচনাক্রমে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণের পরিবর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে তাদেরকে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করা যেতে পারে।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছিলেন, “অষ্টম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণির পিইসি-ইইসি পরীক্ষা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।”
গত ২৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, “গত বছরের মতো চলতি বছরও অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হবে না।”