• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

যৌতুকের জন্য পিটিয়ে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড


ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২, ০৮:৫৪ পিএম
যৌতুকের জন্য পিটিয়ে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ফেনীতে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তার নাম  আবদুল কাদের। তিনি জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠানগড় গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আবদুল কাদের আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া একই মামলার অপর দুই আসামি মকবুল আহম্মদ ও হাফেজ আহম্মেদকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। 

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্র মতে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম পাঠানগড় গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে আবদুল কাদেরের সঙ্গে একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে আবু তারার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের সবাই গৃহবধূর পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক না পেয়ে তারা নিয়মিত গৃহবধূর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। গত ২০০০ সালের ২৩ জুলাই ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। যৌতুক না পেয়ে গত ২০০১ সালের ১৫ এপ্রিল স্বামী আবদুল কাদের তার পরিবারের লোকজন গৃহবধূ আবু তারাকে বেধড়ক মারধর করে। এতে ওই রাতেই গৃহবধূ আবু তারা মারা যায়। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা মোহাম্মদ আলী ছাগলনাইয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

গত ২০০১ সালের ৩১ জুলাই ছাগলনাইয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই)  হাবিবুর রহমান তদন্ত শেষে ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। 

আদালত মামলা চলাকালে শরিফা খাতুন ও আমেনা খাতুন নামে দুইজন আসামি মারা যায়। মামলায় স্বামী আবদুল কাদের ছাড়াও মকবুল আহম্মদ ও হাফেজ আহম্মেদকে আসামি করা হলেও আদালতে তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

আদালতের জ্যেষ্ঠ সহকারী সরকারি কৌসুলি ফরিদ আহমেদ হাজারী জানান, পলাতক আসামি স্বামী আবদুল কাদের যখন গ্রেপ্তার হবেন বা আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন তখন মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। 
 

Link copied!