নাটোরের বড়াইগ্রামে চোর সন্দেহে দুই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করার পর মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে তাদের একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম শামীম শিকদার (২১)। সে উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের পিওভাগ গ্রামের সুলতান শিকদারের ছেলে। গুরুতর আহত অপরজন হলেন একই ইউনিয়নের বোর্ণী গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে সোহান হোসেন (১৮)।
বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত স্থানীয় ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ও পাবনা চাটমোহরের হরিপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মুক্তার হোসেন (৫০) ও তার ছেলে সুমন আলীকে (২৬) আটক করেছে। বুধবার দুপুরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, এক মাস আগে মুক্তার হোসেনের মালিকানাধীন জোনাইল বাজারের মা ডেকোরেটর থেকে কিছু মালামাল চুরি হয়। এই চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে মঙ্গলবার দুপুরে শামীমকে ওই ডেকোরেটর প্রতিষ্ঠানের ভেতরে আটকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
একই সময় সোহানকেও বাড়ি থেকে তুলে এনে একই স্থানে আটকে পেটানো হয়। এতে গুরুতর আহত হলে পরিবারের সদস্যদের সংবাদ দেওয়া হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে শামীমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীমের মৃত্যু হয়।
নিহত শামীম শিকদার স্ত্রী রেশমা বেগম বলেন, “আমার স্বামী চুরি করেছে এমন প্রমাণ থাকলে মুক্তার তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিত। দেশে তো আইন আছে। আমার স্বামীকে তারা নির্মমভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।”
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শফিউল আযম খাঁন জানান, এই ঘটনায় নিহতের বাবা সুলতান শিকদার বাদী হয়ে রাতেই গ্রেপ্তার দুইজনের নামসহ অজ্ঞাত ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে প্রধান দুই আসামি মুক্তার ও সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :