• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগ দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে


যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪, ১০:৫৬ এএম
পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগ দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
আহত এসআই আবুবকর। ছবি: সংগৃহীত

যশোরের মনিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুবকর মারপিটের শিকার হয়েছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে মনিরামপুর বাজারে একটি কাপড়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

আহত আবুবকর মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

এসআই আবু বকরের অভিযোগ, পৌরসভার দুই কাউন্সিলর বাবুল আকতার ওরফে পাগলা বাবুল ও আদম আলী দলবল নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মনিরামপুর বাজারের নিউ শাড়ি প্যালেসের মালিক মোশারেফ হোসেনের কাপড়ের দোকানে হামলা ও লুটপাট করছেন এমন খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান। সেখানে গিয়ে পাগলা বাবুলকে তিনি আটক করেন। তখন সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁর ওপর হামলা করে পাগলা বাবুলকে ছাড়িয়ে নেয়।

এসআই আবুবকর বলেন, “ওদের লোকজন আমাকে কিলঘুষি মারে। আমার ডান হাত মুচড়ে দিয়েছে। তারা আমার পরনের গেঞ্জি ছিঁড়ে দিয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করতে পেরেছি। বাকিরা পালিয়েছে।”

এসআই আবুবকরের বক্তব্য অনুযায়ী, কাপড় ব্যবসায়ী মোশাররফের ফোনকল পেয়ে তিনি বিষয়টি ওসিকে জানান। ওসি তাঁকে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন। এরপর তিনি ডিউটি অফিসারকে ফোন কল করে ফোর্স পাঠাতে বলেন। ঘটনার সময় তিনি বাজারেই সাদা পোশাকে ছিলেন। ফোর্স পৌঁছানোর আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এবং তার ওপর হামলা হয়।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মুজাফফার, শরিফ হোসেন ও শাহ আলম নামে তিনজনকে আটক করেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আটকদের নাম ও সংখ্যা জানানো হয়নি।

কাপড় ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর আমি দোকানে বসা ছিলাম। হঠাৎ পাগলা বাবুল ও আদম আলী দু–তিন শ লোক নিয়ে দোকানের সামনে আসে। এরপর বাবুল দোকানে ঢুকে আমাকে গালমন্দ করে। একপর্যায়ে সে আমার ক্যাশবাক্সে হাত দিয়ে ৫–৬ লাখ টাকা নিয়ে যায়।’

মোশাররফ হোসেন বলেন, “বাবুল আমার দোকানের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ভেঙেছে। তাদের সঙ্গে লোকজন দোকানের শাটার ভেঙেছে, লুটপাট চালিয়েছে। আমি থানায় যেতে চাইলে বাবুল আমাকে মারপিট করে।”

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর বাবুল আক্তার ও আদম আলীর ফোন নম্বরে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া গেছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, “কী ঘটেছে আবুবকর ভালো বলতে পারবেন।” পুলিশকে মারধর বা কয়েকজনকে আটকের বিষয়ে ওসি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।”

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, “এসআই আবুবকরের ডান হাতে চোট লেগেছে। শরীরের কয়েকটি স্থানে ছোটখাটো আঘাত লেগেছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।”
 

Link copied!