• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

প্রতি মণ আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়


রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৩, ০৮:১২ পিএম
প্রতি মণ আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়

চলতি মৌসুমের শুরু থেকে রাজশাহীতে কখনও তীব্র ও কখনও অতি তীব্র তাপপ্রাহ ছিল। খরা কেটে যাওয়ার পর এবার ঝড়ে ঝরে পড়ল গাছের বাড়ন্ত আম। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।

ঝড়ে পড়া এসব আম এখন বিক্রি হচ্ছে আড়াই থেকে তিন টাকা কেজি দরে। আম চাষিরা বলছেন, এসব আম দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই পাকতে শুরু করত। তবে গত বুধবারের (১৭ মে) ঝড়ে মণকে মণ আম ঝরে পড়েছে। এখন সেগুলো সড়কের পাশে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে বিক্রি হচ্ছে নাম মাত্র দরে।

জানা গেছে, ঝড়ে পড়া আম এখন মাত্র ১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর মোড়ে আম বিক্রি করেন স্থানীয় লোকজন ও ব্যসায়ীরা। ঢাকায় বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা আচার করার জন্য এসব আম কিনে নিচ্ছেন।

রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, বাঘা উপজেলার একটি ইউনিয়নে আমের বেশি ক্ষতি হলেও অন্য উপজেলাগুলোতে অল্প ক্ষতি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার বৈশাখে টানা খরার পর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতে বুধবার বিকেলে ও রাত ৩টার দিকে ঝড় হয় রাজশাহী অঞ্চলে। এই ঝড়ে গাছ থেকে অনেক আম ঝরে পড়েছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ ও বাগান মালিকরা কুড়িয়ে উপজেলার বাজারগুলোতে সেই আম বিক্রি করেন। ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা সেই আমগুলো ১০০ টাকা মণ দরে কিনে নেন।

বাঘা উপজেলার আম বিক্রেতা রাজিব ও রেজুল মণ্ডল বলেন, “আচারের জন্য বেশি দামে গুটি জাতের আম কিনছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ঝড়ে পড়া আমগুলো নামমাত্র দামে কিনছেন। ব্যবসায়ীরা দাম দিতে চাচ্ছেন না। তারা আড়াই টাকা কেজি দরে আম কিনছেন।”

উপজেলার আড়ানী গোচর গ্রামের বাগান মালিক জহুরুল ইসলাম জানান, তার বাগানে প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ আম আছে। ঝরে পড়া আম গ্রামের মানুষ কুড়িয়ে ১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছে।

আম ব্যবসায়ী নাজিমুল ইসলাম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন থেকে আমের ব্যবসা করেন। বিশেষ করে কড়ালি ও ঝরে পড়া আম কিনে ঢাকায় চালান করেন। প্রতি মণ ১০০ টাকা দর হিসেবে ক্রেতাদের কাছ থেকে আম কিনছেন। তিনি আরও বলেন, এই আমগুলো পাকবে না। পাকাতে গেলে পচে যাবে। কারণ প্রতিটি আম আঘাত প্রাপ্ত। আর আঘাতপ্রাপ্ত আম কখনও পাকে না। তাই এই আমে আচার তৈরি করা হবে। বেশির ভাগ আম ঢাকা নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বিভিন্ন কোম্পানি আচারের জন্য আম কিনে।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, কিছু দিন আগে প্রচণ্ড রোদ ও খরা গেছে। এতে করে আমের বোঁটা শুকিয়ে ছিল। ফলে বাতাসে কিছু আম ঝরে গেছে। তা খুব বেশি নয়। এই আম বাঘার বিভিন্ন গ্রামের মোড়ে ও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর বাঘা উপজেলায় আট হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাজদার হোসেন বলেন, রাজশাহীর  বাঘা উপজেলায় একটি বাগানে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চারঘাট ও পুঠিয়ার কিছু বাগানের আম ঝড়ে পড়েছে। যা অন্য ঝড়ের মতোই স্বাভাবিক। এতে খুব একটা বেশি ক্ষতি হয়নি।

Link copied!