• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

গোপালগঞ্জে শাসন করায় শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪, ১২:০৩ পিএম
গোপালগঞ্জে শাসন করায় শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ
চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস। ছবি : সংগৃহীত

শাসন করায় বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে মারধর করেছে ছাত্র ও তার অভিভাবকরা। এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষক হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে আরও এক শিক্ষক ও ৩ কর্মচারী আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার হিজলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস হিজলবাড়ি বিনয় কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, দশম শ্রেণির ছাত্র পিতাশ হালদার স্কুল ড্রেস না পড়ে বিদ্যালয়ে আসলে প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস তাকে শাসন করেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে পিতাশ হালদার বিদ্যালয় ত্যাগ করে বাড়িতে চলে যায়। বিদ্যালয় ছুটির পরে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্র পিতাশ ও তার অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদেরও মারধর করেন।

তাদের মধ্যে গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী শিক্ষক উত্তম অধিকারী, ল্যাব অপারেটর সুদেপ অধিকারী, কর্মচারী জয় সেন ও বুলেট দত্তকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।

বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক স্বপন রায় বলেন, “একজন প্রধান শিক্ষক ছাত্রকে শাসন করায় এভাবে মারধরের শিকার হলেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

এদিকে অভিযুক্ত ছাত্র পিতাশ হালদারের বাবা পঙ্কশ হালদার বলেন, “এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। পিতাশের বাবা হিসেবে আমি শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চাই।”

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসসহ অন্যান্যদের খোঁজখবর নিয়েছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, “এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!