• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ছাত্রলীগ নেতা মিরাজ হত্যা মামলায় সব আসামি খালাস


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৩, ০৬:০৮ পিএম
ছাত্রলীগ নেতা মিরাজ হত্যা মামলায় সব আসামি খালাস

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (২৬) হত্যা মামলার ১২ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২২ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- তানজিল হায়দার রিয়াজ, জাহাঙ্গীর, নুরে হেলাল মামুন, রিয়াজ, মোস্তফা কামাল, হারুন প্রকাশ ওরফে ডাল হারুন, জহির সর্দার, রফিক উল্যাহ সোহাগ, রাকিব হোসেন প্রকাশ ওরফে ইয়াবা রাজু, মুসলিম, মাসুদ ও সোহেল। রায়ের সময় খালাসপ্রাপ্ত ১১ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে তানজিল শুরু থেকেই পলাতক।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসীম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “হত্যার ঘটনায় সাক্ষীরা আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। কোনো আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেননি। এছাড়া আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত আসামিদের মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।”

তবে বাদীর আইনজীবী মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন, “আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট নয়। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।”

আদালত ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, মিরাজ হত্যা মামলায় একাধিকবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। সবশেষ ২০১৬ সালের ৫ মে তদন্ত কর্মকর্তা ও লক্ষ্মীপুর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক মোজাম্মেল হোসেন আদালতে ১২ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, আসামিদের সঙ্গে মিরাজের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। মিরাজের কাছে তাদের (আসামিদের) ব্যবসার তিন লাখ টাকা ছিল। ওই টাকা বণ্টন নিয়ে তার সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। হত্যাকাণ্ডের দুই-তিনদিন আগে আসামিরা মামলার বাদী মিরাজের বাবা আবুল কালামের মাছের দোকানে গিয়ে হামলা করেন। এসময় তারা মিরাজের খোঁজ করে হুমকি দিয়ে চলে যান। তখন তারা কালামকে স্থানীয় একটি খাবার হোটেলে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখান।

এর তিনদিনের মাথায় ঘটনার দিন ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর জহিরের বাড়িতে মিরাজকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়িক কথাবার্তা বলেন। পরে কৌশলে তাকে মোটরসাইকেলযোগে ভূঁইয়ারহাটের দিকে নিয়ে যান। মাসুদ ও সোহেল তার সঙ্গী হন। পরে মিরাজের অবস্থান নিশ্চিতের জন্য মাসুদ ও সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অন্য আসামিরা। ভূঁইয়ারহাট থেকে ফেরার পথে বিকেলে কেরোয়া ইউনিয়নের ভাঁটের মসজিদের অদূরে নির্জন এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে মিরাজকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন। মিরাজের সঙ্গে থাকা মাসুদ ও সোহেলকেও আঘাত করা হয়। পরে ডাক্তারি প্রতিবেদনে বলা হয়, মাসুদ, সোহেলের আঘাত সামান্য ছিল। দীর্ঘ শুনানি ও ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন।

Link copied!