তীব্র তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ফরিদপুর। সঙ্গে বয়ে গেছে ঝোড়ো হাওয়াও। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল এ অঞ্চলের মানুষের।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন আগেও ফরিদপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বৃষ্টি গ্রীষ্মকালীন ফল আম ও লিচুর জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তবে ঝোড়ো হাওয়ায় আম ও লিচু ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিনের গরমে দম যায় যায় অবস্থা। বৃষ্টিতে এবার কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। গ্রীষ্মকালীন ফলের জন্যও এ বৃষ্টি খুবই উপকারী।
ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষীপুর এলাকার বাসিন্দা আকবর হোসেন বলেন, গরমে টানা দুই সপ্তাহ কষ্টে ছিলাম। এক পশলা বৃষ্টিতে গরম হ্রাস পেয়েছে। বেশি সময় বৃষ্টি হলে ভাল লাগতো।
ট্রাক চালক রমজান আলী জানান, সড়কে গরমের কারণে সমস্যা হতো। রাস্তার পিচ গলে যেত দিনের বেলা। এ বৃষ্টিতে প্রশান্তি লাগছে।
সালথার গৃহবধূ জমেলা বেগম বলেন, গরমে ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম। গরম সহ্য করার মতো অবস্থা ছিল না। টানা কয়েক দিন বৃষ্টি হলে ভালো হতো। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকতো।
এ বিষয়ে জেলার আবহাওয়া অফিসের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, “টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন হাঁসফাঁস অবস্থায় ছিল। সূর্যের প্রখরতায় মানুষ অসহায় ছিল। কয়েকদিন আকাশ মেঘলা হলেও বৃহস্পতিবার বিকালে বৃষ্টির দেখা মেলে।”
আপনার মতামত লিখুন :