• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
খুলনা সিটি নির্বাচন

ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীর ২৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা


খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩, ০৮:৫২ পিএম
ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীর ২৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা

মেয়র নির্বাচিত হলে নগরবাসীর পৌরকর ৩০ শতাংশ মওকুফ এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল।

রোববার (২৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি ২৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন।

নির্বাচনী ইশতেহারে রয়েছে :
দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, স্বচ্ছতা আনয়ন, জবাদিহি নিশ্চিতকরণ, শ্বেতপত্র প্রকাশ, নগর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন, নগর সরকার গঠনে কার্যকর উদ্যোগ, বায়ূ দূষণ নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, পানি সমস্যার সমাধান, নদীদূষণ, শব্দদূষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড গঠন, খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ, পরিকল্পিত খুলনা গঠন, যানজট নিরসন, ওয়ার্ড ভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, বিল্ডিং কোর্ডের যথাযথ অনুসরণ, দুর্যোগ সহিষ্ণু নগর গঠন, বাসা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, স্মার্ট পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ।

এছাড়া ফুটপাত দখলমুক্ত ও পথচারীদের চলাচল উপযোগী করা, আধুনিক মানের পাবলিক টয়লেট গড়ে তোলা, মশক নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, খাল-জলাধার সংরক্ষণ করে জলাবদ্ধতা নিরসণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, নগরস্বাস্থ্য ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, হকার ও ছিন্নমূল শিশুদের পুনবার্সন, নারীবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, নাগরিকদের নৈতিক উন্নয়ন, যাকাত বোর্ড গঠন এবং সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা।

মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, “বিগত নির্বাচনগুলো স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিমুলক না হওয়ায় এখনো জনমনে শঙ্কা, সংশয়, ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। অশুভ কায়েমী স্বার্থবাদী সিন্ডিকেটকে অবশ্যই ভাঙতে হবে। নোংরা রাজনীতির প্রভাব-দৌরাত্ম থেকে খুলনা সিটিকে রক্ষা করতে হবে। জনজীবনে স্বস্তি ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। নগরকে বসবাসোপযোগী শান্তির নগরীতে পরিনত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন আমূল পরিবর্তনের। দরকার ব্যাপক সংস্কারের। প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগের। প্রয়োজন সৎ, যোগ্য ও আল্লাহভীরু নেতৃত্বের।”

তিনি বলেন, “জনগণের সংশয় ও সন্দেহ দূর করতে না পারলে নির্বাচন থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেবে। সাধারণ মানুষ যখন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না, তখন দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। এজন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই নির্বাচনের প্রতি সাধারণ মানুষকে আগ্রহশীল করে তুলতে হবে।”

ইশতেহার ঘোষণার সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মুফতী আমানুল্লাহ সমন্বয়নকারী মুফতি ইমরান হুসাইন, সহসমন্বয়কারী হাফেজ আসাদুল্লাহ গালীব, নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক হাসিব গোলদার, উপসম্পাদক মুফতী শেখ আমিরুল ইসলাম, আবু গালিব, রবিউল ইসলাম তুষার, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ফেরদৌস গাজী সুমন, মো. সাইফুল ইসলাম, মুহ. মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ আল-মামুন, এম এ সাদী, মাহাদী হাসান মুন্না, এস এম আবুল কালাম আজাদ, মো. ইব্রাহিম খান, মুফতি আব্দুর রহমান মিয়াজী, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইমরান হোসেন মিয়া ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আব্দুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!