২০ লাখ টাকার প্রতারণা ও আত্মসাতের মামলায় নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রওশন আলমের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) এ বিষয়ে আদালতে শুনানির জন্য বিচারক তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
এর আগে, সোমবার রাতে নাটোর শহরের বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নয়ন চন্দ্র প্রামাণিক (৫২) নাটোর শহরের উত্তর বড়গাছা হাফরাস্তা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাটোর সদরের সাধুপাড়ার আয়েজ উদ্দীনের ছেলে মোজ্জাম্মেল হক(৩৭) কলেজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিয়োগ বিষয়ে অধ্যক্ষ তার কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নগদ ১৩ লাখ টাকায় মোজ্জাম্মেল হককে কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এমপিওভুক্তির সময় অধ্যক্ষ আরও ৭ লাখ টাকা নেন তার কাছ থেকে। কিন্তু এরপর অধ্যক্ষ বেতন-ভাতার জন্য মোজ্জাম্মেল হকের এমপিওভুক্তির কাগজপত্র স্বাক্ষর করে জমা দেননি। এ ঘটনায় গত ২৫ অক্টোবর প্রভাষক টাকা ফেরত চাইলে অধ্যক্ষ ফেরত দিতে অস্বীকার জানান। পরে গত ৯ নভেম্বর সদর আমলি আদালতে অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের একটি মামলা দায়ের করেন মোজ্জাম্মেল হক। পরে সোমবার রাতে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ বিকেলেই অধ্যক্ষকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আজীম উদ্দিন জানান, আমরা আসামির জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।