• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষ, ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৩, ০৯:৫৯ এএম
দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষ, ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর তীর রক্ষা গাইড বাঁধ না থাকায় ভাঙন থামছেই না। ইতোমধ্যে উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক বসত-ভিটা, আবাদি জমি ও রাস্তাঘাটসহ নানা স্থাপনা নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেলা জিও ব্যাগও কাজে আসছে না। ফলে চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন যমুনা তীরবর্তী বাসিন্দারা।

জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে যমুনা নদীতে আশঙ্কাজনক হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। এছাড়া চরাঞ্চলে তিল ও পাটসহ নানা ধরণের ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলবাসী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া, চিতুলিয়াপাড়া, খানুরবাড়ী, কোনাবাড়ী, মাটিকাটা, সিরাজকান্দি ও সারপলশিয়া এলাকাসহ অর্ধশত গ্রামে যমুনা নদীর তীরবর্তী গাইড বাঁধের কাছে শতশত ড্রেজার বসানো হয়েছে। এ কারণে প্রতি বছরই ভাঙনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসত-ভিটা।

ভাঙনের শিকার চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের জিলকদ আলী বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে এক দিনেই আমার বসত-ভিটাসহ যমুনা নদী গিলে খেয়েছে। বাড়ির পাশে থাকা জমিও নদী গর্ভে চলে গেছে বহু আগে। সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখন আমার থাকার জায়গাটুকুও নেই। পরিবার নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছি।”

জামাল উদ্দিন নামের একজন বলেন, “আমরা নদী ভাঙন এলাকার মানুষ। চোখের সামনে বসত-ভিটা, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীর পেটে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বললেও তারা কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। গত কয়েক দিন এ এলাকায় প্রায় ১৫-২০টি ঘর-বাড়ি সরানো হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথাও থাকার একটু জায়গা পাচ্ছি না।”

গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধির কারণে গত বুধবার রাতে চিতুলিয়াপাড়ায় নিমিশেই ১৫-২০টি বসত-ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আরও অর্ধশত ঘরবাড়ি ও বসত-ভিটা ভাঙনের শিকার হতে পারে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, “যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার গোবিন্দাসী, চিতুলিয়াপাড়া, কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ী ও পাটিতাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।”

Link copied!