• ঢাকা
  • সোমবার, ০২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৫ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা

ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদুল আজহার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে জেলার হাট বাজারগুলোতে ততই বাড়ছে বেচাকেনা। এ বছর কিছুটা কম দামে পছন্দের পশু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। তবে পশু পালনে খরচ বেশি হলেও আশানুরূপ দামে পশু বিক্রি করতে পারছেন না বলে অভিযোগ ব্যাপারিদের। 

সরেজমিনে জেলার বড় খোচাবাড়ি, মাদারগঞ্জ, লাহেড়ি, যাদুরানী, গড়েয়াসহ বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, এবার হাটে দেশি গরুর সরবরাহ বেশি। অনেক খামারি তাদের খামারের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার গরু প্রতি প্রায় ১০-২০ হাজার এবং প্রতি ছাগলে ৩-৫ হাজার টাকা কম। 

খামারিরা বলেন, “একটা গরু বড় করতে আট-দশ মাস লেগে যায়। খাবার, ওষুধ, পরিচর্যা সব মিলিয়ে অনেক খরচ। এখন হাটে এসে দেখি, যে দামে বিক্রি হচ্ছে তাতে খরচই ওঠে না।” 

গড়েয়া এলাকার গরু বিক্রেতা ইমরান বলেন, “এবার মানুষের হাতে টাকা নাই। মানুষ আলু ও মরিচ করে লস খাইসে। তাই এবার গরুর দাম নাই। গতবার তিন মণ ওজনের যে গরু বিক্রি করেছি ৮০-৯০ হাজার এবার ওই গরু বিক্রি করলাম ৭০ হাজার টাকায়।”

এদিকে গত বছরের তুলনায় কম দামে পশু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। মোহাম্মদপুর এলাকার মাসুম বড় খোঁচাবাড়ি পশুর হাটে ছেলেকে নিয়ে গরু কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, “বাজারে যদিও থার্ড পার্টি দৌরাত্ম বেশি সরাসরি মূল মালিকের কাছ থেকে গরু কেনা কষ্টকর। তারপরও অন্যান্যবারের তুলনায় আমার কাছে মনে হয়েছে বাজার দাম কম। যে বাজেট নিয়ে এসেছিলাম সেই অনুযায়ী গরু নিতে পেরেছি আলহামদুল্লিাহ। এতে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করি।”

সেলিম মিয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, “গত বছর যে গরু ১ লাখ ও ৯০ হাজার টাকা দাম ছিল সেই গরু এবার ৭০-৭৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আমি এবার গরুটি নিয়েছি ৬৯ হাজার ৫০০ টাকায়। সেটির মাংস ১০০ কেজি হবে বলছে গরু বিক্রেতা। আমার ধারণা ৯০-৯৫ কেজি মাংস হতে পারে। এতে আমি খুশি।”

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৭৫ হাজার, সে জায়গায় পশু লালন-পালন করে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৯১ হাজার। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ১৬ হাজার পশু বেশি রয়েছে। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইজহার আহমেদ খান জানান, বর্তমানে গরুর দাম কম। তবে পাইকারের সংখ্যা বাড়লে পশুর দামও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। হাটে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেলার প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি টিম মোতায়েন করা হয়েছে একই সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও সচেতন করা হচ্ছে। 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, “হাটে যেন নির্ধারিত খাজনা থেকে বেশি আদায় করা না হয় সেজন্য সব ইজারাদারদের নির্দেশ দেওয়া আছে। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজার মনিটরিং করছেন। এছাড়া হাটে জাল টাকার নোট শনাক্ত করার ব্যবস্থা, হাট ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Link copied!