• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মরিয়ম ও আজওয়া খেজুর চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন মজিদ


নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৩, ০৪:৫১ পিএম
মরিয়ম ও আজওয়া খেজুর চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন মজিদ

টানা বিশ বছর প্রবাসে থাকার পর দেশে ফিরে সৌদি আরবের দুটি উন্নত জাতের খেজুরের চাষ করেছেন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ।

৩০ শতাংশ জমিতে মরিয়ম ও আজওয়া জাতের খেজুরের বাগান করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে বাগানের কয়েকটি গাছে মোচা ও খেজুর ধরেছে। কিছুদিন পরই সেগুলো খাওয়ার উপযোগী হবে। মরুর এই সুমিষ্ট ফল নিজের জমিতে ফলাতে পেরে খুশির যেন শেষ নেই আব্দুল মজিদের। খেজুর চাষ করে আর্থিকভাবে সফলতা অর্জন করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

আব্দুল মজিদ বলেন, “মানুষের ইচ্ছা ও পরিশ্রম তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে। সেই উদ্যম নিয়েই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ৩০ শতাংশ জমির বাগানে মরিয়ম ও আজওয়া দুই জাতের খেজুর চাষ করেছি। কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করলে এর পরিসর আরও বাড়ানো যাবে। এখন আর বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। দেশের মাটিতে বিদেশি ফলের চাষ করে সফল হওয়া সম্ভব।”

আব্দুল মজিদ আরও বলেন, “বাণিজ্যিকভাবে এই ফল চাষ করে দেশ আর্থিকভাবে অনেক উপকৃত হবে। আমাদের বিদেশ থেকে আর খেজুর আমাদানি করতে হবে না। ফলে দেশের টাকা দেশেই থাকবে। এছাড়া এই ফল চাষের কারণে অনেকে কর্মসংস্থান হবে।“  

এদিকে সৌদি আরবের খেজুর দেশের মাটিতে চাষ হতে দেখে স্থানীয়দের মাঝে এক কৌতুহল বিরাজ করছে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন অনেকে তার খেজুর বাগান দেখতে আসছেন।

রহিম মিয়া নামের এক কৃষক বলেন, “আমরা দেশের মাটিতে কখনও বিদেশি খেজুর চাষ দেখিনি। এবারই প্রথম দেখলাম। মজিদ যদি খেজুর চাষে সফল হন, তাহলে আমরাও তার কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে বাগান করব।”

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, “উপজেলায় এই প্রথম একজন কৃষক সৌদির খেজুর চাষ করছেন। তার কিছু গাছে মোচা ও খেজুর ধরেছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে সবধরনের সহযোগিতা করব এবং এই খেজুর চাষ সম্প্রসারণের জন্য কাজ করব।”

Link copied!