• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৩, ১১:১০ এএম
তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
তেঁতুলিয়ায় লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে যানবাহন। ছবি : সংগৃহীত

হিমালয়ঘেঁষা উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে ঘন কুয়াশা। এতে করে দিনের বেলায়ও যানবাহনকে লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। বিপাকে পড়েছেন এখানকার খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি বছরে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগারের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান।

রোকনুজ্জামান বলেন, তবে সামনে দিকে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।

দিনের শুরুতে ঘন কুয়াশা চারপাশে অন্ধকারে সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। সময় মতো কাজে বের হতে পারছে না অনেকেই। তবে দুপুরের দিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও শীতের তীব্রতা হ্রাস পায় না। তীব্র শীতে নাজেহাল অবস্থা জেলার ৫ উপজেলার মানুষ।

শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ জেলার ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতের দাপটে শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

এদিকে রোববার (১০ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সকাল ৬টায় দিনাজপুরে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়া এই মাসে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

তাপমাত্রা কমায় ব্যস্ততা বেড়েছে জেলার লেপ-তোশকের দোকানে। পাশাপাশি বিভিন্ন গরম কাপড়ের দোকানেও বিক্রি বেড়েছে। শীতের পিঠাপুলি তৈরির ধুম পড়েছে। সড়কের পাশের দোকানগুলোতে ভিড় করে মানুষ পিঠার স্বাদ উপভাগ করছেন।

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার বড় গ্রামের ইটভাটার শ্রমিক সবুজ ইসলাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিন দিন ধরি ভাটায় যাইনি। দুই দিন বৃষ্টি। গতকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশার কারণে বাসায় বসে আছি।

ভ্যানচালক রাব্বি ইসলাম বলেন, দুই দিন বৃষ্টির পরে শীত বেশি হওয়ায় সকাল ও সন্ধ্যায় রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। ঠিকমতো ভাড়া হচ্ছে না। বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। এভাবে চলতে থাকলে তো না খেয়ে থাকতে হবে। এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।

দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ডিসেম্বর মাস শেষে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

Link copied!