টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ঝালকাঠির নদী, খাল-বিল, নিম্নাঞ্চল ও কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া জেলার শহরেরও কিছু কিছু স্থান তলিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে শুরু হওয়া মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। জেলার সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
নদী তীরবর্তী এলাকা ও শহর ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে ঝালকাঠি শহরের অধিকাংশ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা ও যান চলাচলের বিঘ্ন। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
রাস্তাঘাটে পানি জমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। রিকশা ও অটোচালকরা জীবিকার তাগিদে বের হলেও যাত্রী সংকটে পড়তে হয়েছে তাদের। শহরের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও স্কুল মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি বেড়ে নিচু এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এতে কৃষিজমি ও বাগান প্লাবিত হচ্ছে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, “যদিও এখনো ঝালকাঠি সরাসরি সতর্কতা সংকেতের আওতায় পড়েনি, তবুও আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত আছি। বড় ধরনের ঝড় বা বন্যা হলে তা মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিড়া, মুড়ি, শুকনো খাবারসহ সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”