• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মৃদুশৈত্য প্রবাহে বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন


দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩, ১২:০১ পিএম
মৃদুশৈত্য প্রবাহে বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন

শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে দিনাজপুর। জেলায় গত দুই দিনে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।

রোববার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ এবং গতিবেগ ঘণ্টায় ৩ নটস। এর আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ও গতিবেগ একই রকম ছিল।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ ও গতিবেগ ঘণ্টায় ৬ নটস।

আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসের যেকোনো সময় জেলায় বয়ে যেতে পারে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। এদিকে জেলায় হিমেল বাতাসে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। একইসঙ্গে তীব্র ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত  হয়ে পড়েছে। তাই ঠান্ডার কবল থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে অনেকেই।

দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে জেলায় তাপমাত্রা কমেছে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূত্রটি জানায়, ১ জানুয়ারি জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইভাবে ২ জানুয়ারি ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ৩ জানুয়ারি ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি, ৪ জানুয়ারি ১২ ডিগ্রি, ৫ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ৬ জানুয়ারি ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।

জানা যায়, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিরাজ করলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। একইভাবে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রার হিসাব বলছে, জেলায় বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে।

রবি নামে এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, “সকাল সকাল বের হয়ে গরু দেখতে যাই। কিন্তু এখন ঠান্ডার কারণে অনেক সমস্যা। গরু বাজার নিয়ে যাওয়া যায় না। হাতে অনেক ঠান্ডা লাগে। ঠান্ডায় কান ব্যথা করে।”

দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী বলেন, চলতি মাসের যেকোনো সময় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। দিনে সকাল ৬ টার থেকে সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা কমছে। জানুয়ারি মাসের বৃষ্টি সম্ভাবনা নেই। এই মাসে উত্তরাঞ্চলের নদী অববাহিকায় হালকা থেকে ভারি কুয়াশা দেখা দিতে পারে।

Link copied!