মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে জুমার খুতবায় ভয়াবহতা নিয়ে আলোচনা করায় ইমামকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মুমিন খান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন- সুলতানপুর গ্রামের জুয়েল খানের ছেলে মো. জুলহাস (২২) ও রায়হান (১৯)।
ভুক্তভোগী ইমাম মুফতি মিরাজুল ইসলাম ফরিদপুর জেলার বড় কামদিয়া এলাকার কবির শেখের ছেলে। তিনি উপজেলার সুলতানপুর মধ্যপাড়া মসজিদে ইমামতি করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুফতি মিরাজুল ইসলাম ৭-৮ মাস আগে সুলতানপুর গ্রামের মধ্যপাড়া জামে মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। মাঝে মধ্যে শুক্রবার জুমার নামাজে মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে আলোচনা করলে স্থানীয় কিছু মাদকসেবীর রোষানলে পড়েন তিনি। শুক্রবার (২৭ জুন) জুমার নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির কাছে চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদন করে নিজ গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে জুলহাস ও রায়হান নামের দুই ব্যক্তি তাকে মারধর করেন।
ইমাম মিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি মাঝে মধ্যে শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় মাদকের ভয়াবহতা, কুফল ও ইসলামে মাদক ব্যবহারের শাস্তি বিষয়ে কথা বলায় কিছু স্থানীয় যুবক তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এ বিষয়টি মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জুলমত খাকে বিষয়টি অবগত করেন তিনি। ইমামতির শেষ দিন থাকায় গত শুক্রবার হামলাকারীরা আগে থেকেই তাকে নজরদারিতে রেখেছিল। বাড়ি যাওয়ার পথে তাকে গতিরোধ করে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায় ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এতে তিনি প্রথমে মানিকগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে ও পরবর্তীতে রোববার হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মুমিন খান বলেন, এ ঘটনায় ইমামের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় রোববার মামলা হয়েছে। ওই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।