• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৩, ০২:৫১ পিএম
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট
সড়কে ব্যক্তিগত ও মালবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গণপরিবহনের তুলনায় ব্যক্তিগত ও মালবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন এ সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীরা।  

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ অংশের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানবাহনগুলো থেমে থেমে চলাচল করছে। আর সোনারগাঁয়ের চৈত্রী গার্মেন্ট থেকে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।

এদিকে মহাসড়কের পাশের পাম্প স্টেশনগুলোতেও যানবাহনের প্রচুর চাপ দেখা গেছে। যানবাহনের চাপে টোল নিতে গিয়ে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় মাহমুদুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, “সকালে কাঁচপুর থেকে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। কাঁচপুর থেকে চৈতি গার্মেন্ট পর্যন্ত কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়া আসতে পারলেও এখান থেকে মোগরাপাড়া আসতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে গেছে। বাকি পথ কখন যাব ভাবনায় পড়ে গেলাম।”

কামরুল ইসলাম বাবু নামের বাসযাত্রী বলেন, “পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। পথে যানজট দেখে মনে হয় সঠিক সময়ে পৌঁছানো যাবে না।”

নাসিরউদ্দিন নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, “স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়েছি। হরতাল-অবরোধের কারণে সপ্তাহের অন্যান্য দিন প্রাইভেটকার নিয়ে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আজ বের হয়েছি। কিন্তু যানজটের কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।”

কাভার্ডভ্যানের চালক খোকন মিয়া বলেন, “হরতাল-অবরোধে অনেক জায়গাতেই বাস-ট্রাক পুড়িয়ে দেয়। এ কারণে আমরা ভয়ে মহাসড়কে বের হই না। আজ যেহেতু হরতাল নেই তাই মালামাল পৌঁছে দিতে বের হয়েছি।”

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক জানান, মহাসড়কে যানবাহনের অত্যধিক চাপ থাকায় এ যানজট সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এমন হয়েছে। তবে মহাসড়কে কোথাও যানজট না থাকলেও টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে দেরি হওয়ায় গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেয়ে যানজটের সৃষ্টি। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Link copied!