জামালপুরের মাদারগঞ্জে একটি মুখপোড়া হনুমান প্রায় এক মাস ধরে লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কখনো গাছে, আবার কখনো মানুষের মাঝে চলে যাচ্ছে। হঠাৎ করেই লোকালয়ে আসা হনুমানটির লাফঝাঁপ দেখতে ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন। এতে প্রাণের ভয়ে বারবার নিজের স্থান পরিবর্তন করছে হনুমানটি।
জানা গেছে, বর্তমানে এই প্রাণিটি উপজেলার কড়ইচড়া ইউনিয়নের ঘুঘুমারী এলাকায় অবস্থান করছে। হনুমানটির জীবননাশের শঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে লোকালয়ে চলে আসা হনুমানটিকে উদ্ধারে বন বিভাগের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
স্থানীয়রা বলছেন, গত এক মাস ধরে মুখপোড়া হনুমানটি বড় ভাংবাড়ি, ছোট ভাংবাড়ি ও গুনারিতলা ইউনিয়নের উত্তর জোড়খালী, গোপালপুর এলাকার আশপাশে ছোটাছুটি করে এখন ঘুঘুমারী উত্তরপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উৎসুক জনতা তার ছোটাছুটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
ঘুঘুমারী এলাকার হামিদুর রহমান বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে হনুমানটি খাবারের অভাবে মারা যাবে। অনেকে হয়তো না বুঝে আতঙ্কিত হয়ে কেউ হনুমানটিকে মেরেও ফেলতে পারেন। তাই অতি দ্রুত এটিকে উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়া উচিত।”
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, “হনুমানটি কিছুদিন ধরে লোকালয়ে অবস্থান করছে। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব, হনুমানটি উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়ার জন্য।”
এ বিষয়ে শেরপুর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম বলেন, “দলছুট হয়ে লোকালয়ে আসা হনুমানকে এলাকাবাসী যেন কোনো ক্ষতি বা বিরক্ত না করে। সে বিষয়ে সবার সচেতনতা দরকার। কিছুদিন পর আবার সে তার এলাকায় ফিরে যাবে। যদি লোকালয়ে হনুমানের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে এটি বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    






































