তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক, জননেত্রী শেখ হাসিনার অনুসারী। আমরা যা ওয়াদা দেই তাই পূরণ করি। আমরা বলেছিলাম, শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবো। আমরা তা করেছি। আওয়ামী লীগ সরকার তা করেছে। প্রতিটি গ্রামকে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। গ্রামের মানুষ এখন বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটসহ শহরের সুবিধা ভোগ করছে। যা কোনো সরকার করেনি।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজ চত্বরে সরকারি ভাতা সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পর পর তিনবার নৌকা মার্কায় ভোট না দিতেন তাহলে আপনারা ভাতাগুলো পেতেন না। আমার বিধবা বোন মাসে ৫৫০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। টাকার পরিমাণটা কম হলেও সেটাই তার বেঁচে থাকার অবলম্বন। আত্মমর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার শক্তি। একজন বৃদ্ধ বাবা তার পকেট খরচ হিসেবে পাচ্ছে। ওটা তার সবচেয়ে বড় শক্তি। আগে প্রতিবন্ধী কোনো শিশু পরিবারে জন্ম নিলে মাকে দোষারোপ করা হতো। প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম নিলে বাবা-মা সেই সন্তানকে ঘরে লুকিয়ে রাখতো। এখন সেই সন্তান পুরো পরিবারের দায়িত্ব নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই মানুষগুলোকে মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে। তাদের অধিকার দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের গরীব-অসহায় মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আগে কৃষকদের এক বস্তা সারের জন্য তাকিয়ে থাকতে হয়েছে। বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। মানুষের যাতায়াতের জন্য ব্রিজ ছিল না। এখন প্রতিটি এলাকা প্রধানমন্ত্রী পাকা রাস্তা, ব্রিজ, স্কুল-কলেজের অসংখ্য অবকাঠামো নিমার্ণ করে দিয়েছে। যা বিগত বছরে কোনো সরকার করেনি।
তিনি আরও বলেন, গ্রামের মানুষ এখন শহরের সুবিধা গ্রহণ করছে। শতভাগ বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, উন্নয়ন গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে। যা বিগত কোনো সরকার করেনি।
সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে বক্তব্যে দেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মো. ওহিদুর রহমান, সিংড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ডালিম আহমেদ ডন, সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।