• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

তীব্র শীতে আলু চাষিদের কপালে ভাঁজ


নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৭:১৯ পিএম
তীব্র শীতে আলু চাষিদের কপালে ভাঁজ
আলুক্ষেতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করছেন কৃষক। ছবি : প্রতিনিধি

নওগাঁয় গত কয়েক দিনের অব্যাহত ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে আলুক্ষেতে ব্যাপক হারে লেট ব্লাইট বা আলুর মড়ক রোগ দেখা দিয়েছে। এতে করে এলাকার কৃষকেরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এ রোগের কারণে আলুর পাতা কালো কালো ফোসকা পড়ে মরে যাচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা আলুর ক্ষেতে লেট ব্লাইট বা পাতা মোড়ানো রোগাক্রান্ত আলুক্ষেতে মেটারিল, মেটাটাফ ও ফোরাম সমন্বিতভাবে স্প্রে করেছেন। সাত দিন পর স্প্রে করেছেন রিভাস নামের কীটনাশক।

কৃষক ও কৃষিবিদদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যখন আলুর গাছগুলো সবুজ রং ধারণ করে সজীব হয়ে উঠেছে, ঠিক সেই মুহূর্তে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে আলু ক্ষেতে লেট ব্লাইট বা পাতার মড়ক রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষকরা আক্রান্ত ক্ষেতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করেও সুফল পাচ্ছেন না।

মান্দা আইওর পাড়ার গ্রামের আলু চাষি নজরুল ইসলাম জানান, সাধারণত তার পাঁচ বিঘা জমিতে আলু আবাদে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এবার সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় বিঘা প্রতি অন্তত ৮ হাজার টাকা খরচ বেড়েছে।

নিয়ামতপুর উপজেলার গুজিশহর বাজারের আলু বীজ ডিলার সামসুল বলেন, তিনি প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। এরমধ্যে আমান ভ্যালেনসিয়া-১০ জাতের পাঁচ বিঘা জমির আলু ছাড়া সব জমিতেই লেট ব্লাইট রোগে দেখা দিয়েছে। আলু গাছ রক্ষায় নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করেও কাজ হচ্ছে না।

মান্দা উপজেলার আইওর পাড়া গ্রামের কৃষক ইমরান হোসেন বলেন, তিনি সাড়ে সাত বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আলুর আবাদ করেছেন। এসিআই সিডের ১০ জাতের আলুতে শুধু রোগবালাই নাই। এছাড়া বাকি সব জমির আলুগাছ মরে গেছে।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) খলিলুর রহমান জানান, কৃষকদের সচেতন করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ আলুর লেট ব্লাইট বা রোগ দমনে কৃষকদের করণীয় শিরোনামে বিভিন্ন পরামর্শ লিখে লিফলেট আকারে তা ছাপিয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নিকট বিতরণ অব্যাহত রেখেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঠান্ডা আবহাওয়া আলু চাষের জন্য উপকারী। কিন্তু একটানা ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহ এ ফসলের জন্য ক্ষতিকর কৃষকদের সচেতন করার লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

Link copied!