• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নান্দাইলে হাইত উৎসবে মাছ শিকারীদের ঢল


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৩, ০৩:৩৭ পিএম
নান্দাইলে হাইত উৎসবে মাছ শিকারীদের ঢল

সকালের আলো ফুটতেই জড়ো হতে শুরু করেন মানুষ। মাছ শিকার করতে এসেছেন। আবার অনেকে এসেছেন মাছ ধরা দেখতে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ও শেরপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বাপাইল বিলে মাছ শিকারিদের মিলন মেলা ‘হাইত উৎসবে’ দেখা যায় এমন চিত্র।

হাইত উৎসবে স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দুরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন মানুষও অংশ নেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত চলে বাপাইল বিলের এ মাছ শিকারের উৎসব।

স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ আগে থেকেই হাইত উৎসবে মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়। মাইকিং শুনে শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই মাছ শিকারিরা জড়ো হতে থাকেন। মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নে খাল-বিল, জলাশয়ে বছরের এ সময় পানি কমে হাঁটু সমান, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোমর সমান হয়ে এলে ‘হাইত উৎসবে’র আয়োজন করেন এলাকার মানুষজন। দিনক্ষণ ঠিক করে এলাকায় মাইকিং করা হয়।

শনিবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, হাইত উৎসবে পলো, ডুবা ফাঁদ, চাঁইসহ বিভিন্ন ধরনের জাল ও সরঞ্জাম নিয়ে মাছ শিকার করতে বিলে নেমে পড়েছেন হাজারের বেশি মাছ শিকারিরা । বিলের দুপাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী-পুরুষ হাইত উৎসবের মাছ শিকার দেখতে এসেছেন। সব মিলিয়ে বিল ও আশপাশের এলাকায় আনন্দমুখর এক পরিবেশের তৈরি হয়। তবে এ বছর বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়াতে মাছ শিকারিরা বেশি মাছ ধরতে পারেননি।

পার্শ্ববর্তী হোসেনপুর উপজেলার বাসিন্দা মো. তারিফ হাসান বলেন, হাইত উৎসবে মাছ শিকার করতে এসে তেমন মাছ পাইনি। তবে সবার সঙ্গে মাছ ধরতে বিলে নেমে ভালো লাগছে।

আরেক মাছ শিকারি মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মামুন আহমেদ বলেন, আগের মতো হাইত উৎসবের আনন্দ নেই। বর্তমানে কিছু কিছু অঞ্চলে গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে গ্রামের মুরব্বিরা হাইত উৎসবের আয়োজন করে। তবে মাছ শিকারিরা তেমন মাছ শিকার করতে পারিনি।

শেরপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, অনেক বছর আগ থেকেই এখানে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে হাইত উৎসবের আয়োজন করা হয়ে আসছে। ১০-১২ মাইল দূর থেকেও মাছ শিকার করতে অনেকে এসেছেন।
 

Link copied!