• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে উৎসবের আমেজ


রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০৭:৩২ পিএম
বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে উৎসবের আমেজ

পাহাড়ি জনপদ রাঙামাটিতে খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের বড়দিন উদযাপনে চলছে নানা আয়োজন। দিনটি উপলক্ষে গীর্জাগুলোকে ফুল দিয়ে আকর্ষণীয় করে নানা রঙে সাজানো হয়েছে। গির্জায় গির্জায় করা হয়েছে নানা আলোকসজ্জা।

রাঙামাটি জেলাসহ প্রত্যন্ত এলাকায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গ্রামগুলো লাল, নীল বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। এছাড়া ক্রিসমাস ট্রি, ধর্মীয় প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, যিশুর জন্মের গোশালাও তৈরি করা হয়েছে। গির্জাগুলোতে সাজানো হয়েছে নানান সাজে। আর ঘরের ওপরে টাঙানো হয়েছে রঙিন কাগজে বানানো তারা চিহ্নিত আলোক সজ্জা। বসতবাড়ির আঙ্গিনায়ও দেখা গেছে নানা রঙের কারু কাজ।

এছাড়া শহরের তবলছড়ি বন্ধু যিশু টিলা গির্জায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আর বড়দিন উপলক্ষ্যে কেক কেটে রাঙামাটিসহ প্রত্যন্ত এলাকায় উৎসব সূচনা করা হয়েছে।

গত দুই বছর করোনার কারণে স্বল্প পরিসরে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বড়দিন পালন করলেও এ বছর করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবার স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করছেন খ্রিস্টান ধর্মালম্বীরা। শিশুরা মেতে উঠেছে বড়দিনের আনন্দে।

রাঙামাটি শহরে ৭টি খ্রিস্টানপল্লী রয়েছে। আসামবস্তি, নতুনবস্তি, বন্ধু যীশুটিলা, রির্জাভমুখসহ অন্যান্য গ্রামের মানুষ গীর্জায় প্রার্থনা করে নানা আয়োজনে প্রভু যীশুর জন্মদিনের উৎসব পালনে ব্যস্ততার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে।

বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ের খ্রিস্টান পল্লীগুলোতেও চলছে উৎসবের আমেজ। রাঙামাটিসহ কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা, বাঘাইছড়ি সাজেক ইউনিয়ন ও বিলাইছড়ির পাংখো পাড়ায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী পাংখো ও খিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষ বড়দিন উৎযাপন করতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছেন। আবার কেউ কেউ এলাকায় আয়োজন করেছে প্রীতিভোজের।

অন্যদিকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন উপলক্ষে রাঙামাটির আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

রাঙামাটির ক্যাথলিক চার্চ পাল পুরোহিত ফাদার মাইকেল রয় জানান, ঈশ্বরের আশীর্বাদরূপে যিশু এসেছিলেন মানবতার কল্যাণে মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাতে। পাহাড়ে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে প্রভু যীশুর জন্মদিন। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় জেলা শহরসহ রাঙামাটির বিভিন্ন গির্জায় বড়দিন উদযাপিত হবে। এ উৎসবের মধ্যে মিশে যাবে সকল হিংসা, সংঘাত। সৃষ্টি হবে সম্প্রীতি মেলবন্ধন।

দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির পাশাপাশি পাহাড়ের শান্ত পরিস্থিতি ও করোনার পরিস্থিতিতে সব মানুষ যাতে সুস্থ ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে প্রভু যীশুর জন্মদিনে এমনটাই প্রার্থনা করছেন সবাই।

Link copied!