কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামাণিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় আরও দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বুধবার (২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে উপজেলা শহরের গোডাউন মোড় এলাকায় পূর্ব বিরোধের জেরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) যুবজোটের জেলা ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শোভন ও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সঞ্জয় কুমার প্রামাণিককে কুপিয়ে গুলি করে। এতে সঞ্জয়, বেলাল ও শ্যামল গুরুতর আহত হন।
নিহতের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত ১১টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলা শহরের গোডাউন মোড় এলাকায় মুস্তাফিজুর রহমান শোভন ও তার লোকজন মন্দির পরিচালনাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক ও তার সঙ্গে থাকা বেলাল হোসেন ও শ্যামলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে সঞ্জয়ের পায়ে গুলি লাগে। এ সময় তাদের কুপিয়েও জখম করা হয়। এতে বেলাল ও শ্যামলও আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে সঞ্জয় মারা যান।
নিহতের স্বজনরা বলেন, “পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শোভন ও তার লোকজন সঞ্জয়কে নির্মম ও নৃশংসভাবে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে অপরাধী যেই হোক আইনের আওতায় আনা হবে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।