ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: রাজশাহীতে বইছে দমকা হাওয়া

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দ্রুত উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রভাবে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রাজশাহীতে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও বর্তমানে আবহাওয়া শুষ্ক রয়েছে। তবে বইছে দমকা হাওয়া।

দুপুরের পর থেকে রাজশাহীর আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। কালো মেঘে ঢেকে আছে রাজশাহীর আকাশ। রাজশাহীর শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী ফ্লাইটগুলোর ওঠানামা রয়েছে স্বাভাবিক।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলে বড় ধরনের তেমন কোনো আশঙ্কা না থাকলেও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুপুরের পর থেকে রাজশাহীতে দমকা বাতাস শুরু হয়েছে। হয়তো এই বাতাসের তীব্রতা আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিও শুরু হতে পারে।

রাজশাহীতে সোমবার ভোর ৬টা ৭ মিনিটে সূর্যোদয় হলেও মেঘের কারণে সকালের পরই আর রোদের দেখা মেলেনি বলে জানান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার আবহাওয়ার ভিন্নতা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে হালকা মেঘ থাকলেও দুপুরের পর তা ঘন হয়ে ওঠে। এখন কালো মেঘে ঢেকে আছে রাজশাহীর আকাশ।

আব্দুস সালাম আরও জানান, ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। আর বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তখন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ।

সিত্রাংয়ের প্রভাবে আবহাওয়া কেমন থাকবে জানতে চাইলে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, খুব একটা বেশি আশঙ্কা নেই রাজশাহীর জন্য। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রথমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এরপর হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে বয়ে যাবে দমকা হওয়া। তবে ঝড়ের তীব্রতা না থাকলেও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮ কিলোমিটার হতে পারে। এখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় মাত্র ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার। তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে আঘাত হানলে এই বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ার তীব্রতা বাড়তে পারে।

বিভাগীয় শহর রাজশাহীর জন্য আপাতত আর কোনো পূর্বাভাস নেই বলেও জানান ওই ঊর্ধ্বতন আবহাওয়া কর্মকর্তা।

এদিকে আবহাওয়ার কারণে প্লেন ওঠা নামায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে রাজশাহীর শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক দিলার পারভীন বলেন, আবহাওয়া মেঘলা থাকলেও প্লেন ওঠা নামায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটের সব ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে এবং আবহাওয়া অন্যরকম রূপ নিলে ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন হতে পারে।

ঢাকা থেকে এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক।