• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

সীমান্তে সংঘর্ষ : ভিডিও বার্তায় যা বললেন আরসা প্রধান


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৩:৫০ পিএম
সীমান্তে সংঘর্ষ : ভিডিও বার্তায় যা বললেন আরসা প্রধান

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তের তুমব্রুর শূন্যরেখা এলাকায় গত ১৮ জানুয়ারি দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের বিষয় নিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন আরসা কমান্ডার ইন চিফ আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি। 

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) মো. সৈয়দ আলম নামে ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন তিনি।

ভিডিওতে আম্মার জুনুনি দাবি করে বলেন, “গত ১৮ জানুয়ারির ওই সংঘর্ষে আরএসওর ১৮ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছেন। এসময় আরসার একজন সদস্যও নিহত হয়নি।”

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আরসা প্রধান বলেন, “ওইদিন ভোরে সীমান্তের তুমব্রুর শূন্যরেখায় আমাদের রোহিঙ্গা ভাইবোনদের ওপর যে হামলা হয়েছে ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে এটা নিয়ে আমি অনেক চিন্তিত ছিলাম। আসলে প্রকৃত ঘটনা জানানোর জন্য আমি ফেসবুক লাইভে এসেছি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ওইদিন আরএসও সদস্যরা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কোনারপাড়া নো-ম্যান্স ল্যান্ডের আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের হুমকি ও মারধরের চেষ্টা করেন। এই খবরে আমি এবং দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করি। তারপর তারা আমাদের সামনে রোহিঙ্গাদের মারধরের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হলে আরএসও সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আমরাও আমাদের জীবন রক্ষার্তে পাল্টা গুলি ছুঁড়ি।”

আম্মার জুনুনি বলেন, “আরএসও সদস্যরা রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা করবে সেটা আগে থেকে পরিকল্পনা করে এসেছিল। যা আমরা বুঝতে পারেনি। তাদের কাছে ভারি অস্ত্র ছিল, যা আমাদের ছিল না। তবে তা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে আমার দলের সদস্যরা কৌশলে সারাদিন যুদ্ধ করে। এতে আমরা আলহামদুলিল্লাহ, সফল হয়েছি। তাদের তিনটি পরিকল্পনা ছিল। যেগুলো আমাদের কাছে ধরা পড়ে। তারা মনে করেছিল আমরা তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করব। কিন্তু আমরা করিনি। উল্টো তাদের কাবু করেছি।”

ভিডিওতে আরসা প্রধান ভিডিও বার্তার একপর্যায়ে উখিয়ায় র‌্যাবের হাতে আটক দুই জঙ্গির ঘটনাকে নাটক বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “ঢাকা থেকে তাদের আটক করে কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় এনে আরসা সদস্যসহ আমাকে ফাঁসানোর জন্য র‌্যাব এই ঘটনা ঘটিয়েছে।”

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বিদেশি পিস্তল তার সামনে রেখে তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী পাশে নিয়ে শূন্যরেখার হামলা ও র‌্যাবের দুই জঙ্গি আটক নিয়ে বর্ণনা দিচ্ছেন আরসা প্রধান।

আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির জন্ম পাকিস্তানের করাচিতে। বাবা গোলাম শরীফ। সাত ভাই ও দুই বোনের মধ্যে অষ্টম তিনি। ৬ বছর বয়সে চলে যান সৌদি আরবের রিয়াদে। ইসলামি শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষকতা করেন মক্কা ও রিয়াদে। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির প্রধান হিসেবে যোগ দেন।

Link copied!