স্বাধীনতার পর এই প্রথম বগুড়া-৭ আসনে নৌকার জয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসন দখলে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মোস্তফা আলম নান্নু। ৫৩ বছর পর এই আসনটি দখলে নিয়েছে নৌকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আসনটি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি হওয়ায় বিএনপির দখলে ছিল। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় মহাজোট সরকারের শরিকদল জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট আলতাব আলী এমপি নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সারা দেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও এ আসনটিতে আইনি জটিলতায় বিএনপির প্রার্থী শূন্য হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাংবাদিক রেজাউল করিম বাবলু জয়লাভ করেন। এবার বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মোস্তফা আলম নান্নু নৌকা প্রতীকে ৯১ হাজার ২৯ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১২ হাজার ২৫৮জন। এর মধ্যে শাজাহানপুর উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৩৫ হাজার ২১ জন। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৬ হাজার ৭৭২ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ২৪৭ জন। এখানে তৃতীয় লিঙ্গের দুজন ভোটার রয়েছে। গাবতলী উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ২১১ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৬ জন।

এবার নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নান্নুসহ মোট ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের এ টি এম আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেস ডাব প্রতীকের ডা. মেহেরুল আলম মিশু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মশাল প্রতীকের আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টির (জেপি) বাইসাইকেল প্রতীকে আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ছড়ি প্রতীকে এনামুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আম প্রতীকে ফজলুল হক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন নোঙ্গর প্রতীকে মো. রনি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকে নজরুল ইসলাম মিলন, চার্জার লাইট প্রতীকে আমজাদ হোসেন, কেটলি প্রতীকে নজরুল ইসলাম, ঈগল প্রতীকে সরকার বাদল এবং আবারও ট্রাক প্রতীকে বর্তমান এমপি রেজাউল করিম বাবলু।