বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের দ্বিতীয় দিন বগুড়ায় পানিবাহী একটি লরিতে অগ্নিসংযোগে করা হয়েছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ফটকি ব্রিজসংলগ্ন বেতগাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদারের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা আজ সকাল থেকেই অবরোধের সমর্থনে মহাসড়কের লিচুতলা দ্বিতীয় বাইপাস সড়কে অবস্থান নেন। সেখানে তারা ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’; ‘মামলা দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’; ‘একটা গুলি চললে পাল্টা হামলা চলবে’ ইত্যাদি নানা স্লোগান দেন। অদূরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে বেলা সোয়া ১০টার দিকে একটি পানিবাহী লরি রংপুরের দিকে যাওয়ার পথে ফটকি ব্রিজসংলগ্ন রেনেটা কার্যালয়ের সামনে দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মহাসড়কের লিচুতলা দ্বিতীয় বাইপাসসহ অবরোধকারীরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছিল।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম দাবি করেছেন, পুলিশের টহল সত্ত্বেও অবরোধ-সমর্থকেরা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে পানিবাহী একটি লরিতে অগ্নিসংযোগ করেছে। লরিটি হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের কাজে পানি সরবরাহে নিয়োজিত ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার বলেন, অন্যদিনের কথা আলাদা। তবে আজ এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ অবরোধে বাধা দেয়নি। আমরা সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে মহাসড়ক অবরোধ করছি।
এদিকে শহরের বনানী এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘অবরোধবিরোধী শান্তি সমাবেশ’ হয়েছে। দুপুর ১২টায় আয়োজিত সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ম রাজ্জাকসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।