• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে থানায় হামলা


বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪, ১১:৪৩ এএম
গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে থানায় হামলা
জেলার মানচিত্র

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় অস্ত্রসহ এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে ছিনিয়ে নিতে হামলা চালানো হয় থানায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে শাজাহানপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে।

এ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই পুলিশ এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান (৩৮), আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন খান (৩২), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান নাজমুল (৩০), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক ওহাবুজ্জামান নাইম (৩৫), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সাইদুজ্জামান খোকন (৩২), স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী রবিন (২৫) ও বোরহান উদ্দিন (৩৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের আড়িয়াবাজার বাসস্ট্যান্ডে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিঠুন খানের কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। দুটি বিদেশি চাকুসহ তাকে আটকের সময় অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান মিঠুন। এতে উপপরিদর্শক আনিছুর রহমান আহত হন। গ্রেপ্তার করে মিঠুনকে শাজাহানপুর থানায় নিয়ে আসার পর রাত ১০টার দিকে প্রায় ৫০ জন সহযোগী নিয়ে থানায় আসেন নুরুজ্জামান। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালান তারা। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন। পুলিশ প্রতিরোধ করলে পালিয়ে যায় তারা। এ সময় রবিন নামে একজনকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, থানা থেকে পালিয়ে এসে নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে হামলাকারীরা মাঝিড়া ইউনিয়নের মাঝিড়াপাড়া এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে সেখান থেকে নুরুজ্জামান, নাইম, খোকন, নাজমুল, বোরহানসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করেন।

গ্রেপ্তারের পর ওই রাতেই জিজ্ঞাসাবাদে নুরুজ্জামান এবং নাজমুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের বাড়ি থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন এসআই আনিছুর রহমান বলেন, “মিঠুনের কাছে ২টি বিদেশি চাকু পেয়েছিলাম। তাকে গ্রেপ্তার করার সময় আমাদের ওপরে হামলা করে। এতে আমিসহ কয়েকজন আহত হই।”

ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, “মিঠুনকে থানায় নিয়ে আসার পর নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জনের একটি দল থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়। এতে আমাদের বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ প্রতিরোধ করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গিয়ে মাঝিড়াপাড়া এলাকায় আবারও অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখান থেকে নুরুজ্জামানসহ কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করে।”

ওসি আরও বলেন, “থানায় জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই রাতেই নুরুজ্জামানের বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল এবং নাজমুলের বাগান বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ মোট ২টি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাতেই থানায় মামলা হয়েছে। এখন অবধি মোট গ্রেপ্তার আছে ৮ জন।”

Link copied!