• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আলুর বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা


নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩, ০৫:২১ পিএম
আলুর বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা

নওগাঁয় আলুর বাম্পার ফলন হলেও এ বছর মুখে হাসি নেই চাষিদের। গত বছর বেশি দামে আলু বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় এবার নওগাঁয় আলুর বেশি আবাদ হয়েছে। তবে কাঙিক্ষত দাম না পাওয়ায় হতাশার মধ্যে আছেন চাষিরা।

এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার নিয়ামতপুর, মান্দা, মহাদেবপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় এস্টোরিক, গ্রানোলা ও দেশীয় জাতের লাল আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে মাঠে মাঠে এখন আলু তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

চাষিরা বলছেন, প্রতি কেজি আলুর উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১৩ টাকা। তবে পাইকারি বাজারে ১০-১১ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে কেজি প্রতি ২-৩ টাকা লোকসান হচ্ছে।

মান্দা উপজেলার আইওর পাড়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, “এ বছর সার ও কীটনাশকের দাম অনেক বেশি ছিল। সেই তুলনায় আলুর দাম অনেক কম। এতে অনেক লোকসান হবে। আমরা এবার আলু চাষ করে লোকসানে পরে গেলাম। আলুর ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না।”

হারুন মোল্লা নামের এক চাষি বলেন, “এ বছর আলুর দাম কম। তাই অনেকে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করছে। তবে হিমাগার মালিকরাও সুযোগ বুঝে ভাড়া বেশি চাচ্ছেন। ৬০ কেজি আলু এক মৌসুম রাখার জন্য ৩৬০ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন। এতে আমাদের বেকায়দায় পড়তে হয়েছে।”

নওগাঁ কৃষি উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “এবার আলুর ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। এখন চাষিরা আলু তুলছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না বলে তারা জানিয়েছেন। আমরা তাদের রপ্তানিযোগ্য আলু চাষে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।”

গত ১০ বছরে ব্যবধানে এ জেলায় আলুর আবাদ বেড়েছে প্রায় চার হাজার হেক্টর। চলতি মৌসুমে ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন। যা গত ১০ বছরে ব্যবধানে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন বেশি।

Link copied!