• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
চরজব্বর থানা। ছবি : সংগৃহীত

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দিনে আরেকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবার মা ও মেয়েকে বেঁধে দুজনকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ সময় ঘর থেকে একজোড়া কানের দুল, নাক ফুল ও নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে দুইটার দিকে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে একটি নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী নারীর মা জানিয়েছেন, দুজনকে তার মেয়ে (৩২) ও নাতনি (১২) চিনতে পেরেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে হাতিয়া থেকে এসে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে নতুন বাড়ি নির্মণ করেন এক দিনমজুর। স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ তিনি সেখানে বসবাস করছিলেন। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন জায়গা কাজ করতে গেলে ২-৩ দিন পর বাড়ি ফিরে আসতেন ওই দিনমজুর।

গত দুই দিন আগে কাজের সন্ধানে তিনি বাড়ির বাইরে যান। এ সময় বাড়িতে তিন মেয়েকে নিয়ে ছিলেন ওই গৃহবধূ। রাত ২টার দিকে ঘরের সিঁধ কেটে ভিতরে প্রবেশ করেন একজন। পরে সে ঘরের দরজা খুলে দিলে আরও দুজন ভিতরে প্রবেশ করেন। এদের মধ্যে দুজন পালাক্রমে ওই গৃহবধূকে এবং তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে ওই গৃহবধূর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘরে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যান তারা।

গভীর রাতে শিশুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গৃহবধূর বাঁধন খুলে দেন এবং বিষয়টি চরজব্বার থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

চর জব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা শুনে রাতেই টহল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সকালে থানা থেকে পরিদর্শক (তদন্ত) ঘটনাস্থলে গেছেন। গৃহবধূ ও তার মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের রাতে সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।আলোচিত ওই ঘটনার মামলার রায়ে  সোমবার ১০ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক। এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বার। আলোচিত মামলার রায়ের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই একই উপজেলায় আরেকটি দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেল।

Link copied!