চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ শিশু আয়াতকে (৫) শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ৬ টুকরা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত আবির আলী (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার (এসপি) নাঈমা সুলতানা।
অভিযুক্ত আবির ছিলেন আয়াতদের বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া। তিনি বর্তমানে আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে বসবাস করেন।
এর আগে ১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি বিষয় পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আয়াত। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আয়াতের বাবা সোহেল রানা।
নাঈমা সুলতানা বলেন, মুক্তিপণ দাবির উদ্দেশ্যে আয়াতকে অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাকে বৃহস্পতিবার রাতে আটক করা হয়। তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
নাঈমা সুলতানা আরও বলেন, “আবির জানিয়েছে, মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে সে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করে। পরে খণ্ডিত মরদেহ দুটি ব্যাগে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে ফেলে দেয়।”