• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

এক সপ্তাহে ল্যাম্পি স্কিনে আক্রান্ত ৫৬২টি গবাদিপশু


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৩, ০২:৫৪ পিএম
এক সপ্তাহে ল্যাম্পি স্কিনে আক্রান্ত ৫৬২টি গবাদিপশু

লালমনিরহাট জেলায় গত এক সপ্তাহে  ল্যাম্পি স্কিন রোগে (এলএসডি) আক্রান্ত  হয়েছে ৫৬২টি গরু। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েকটি গরু মারাও গেছে। 

জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মশা-মাছির মাধ্যমে বেশি ছড়ায় ল্যাম্পি স্কিন রোগ। এ রোগে আক্রান্তের পরদিন দিন গরু দুর্বল হয়ে পড়ে। আক্রান্ত গাভির দুধ থেকে বাছুর আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাসে আক্রান্ত ষাঁড়ের সিমেন প্রজননে ব্যবহার করলেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে।

এ রোগে আক্রান্ত গবাদিপশু প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং খাবার রুচি কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায় ও দুই পায়ের মাঝে পানি জমে যায়। এ ছাড়া পশুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চামড়া পিণ্ড আকৃতি ধারণ করে, লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্টি হয়। আর এ ক্ষত শরীরের অন্যান্য জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গাভি এ রোগে আক্রান্ত হলে দুধ উৎপাদন শূন্যের কোঠায় নেমে আসে।

এদিকে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়লেও এতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। তারা জানান, খুব সাধারণ চিকিৎসায় গবাদিপশুর এই রোগ সারানো সম্ভব। সচেতনতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। লাম্পি স্কিন রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।

এদিকে খামারিরা জানান, গরু উৎপাদন বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক অবস্থানে বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে। গরু উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে এই লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে খামারকে মুক্ত রাখা না গেলে এই অগ্রযাত্রায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। এ রোগের কোনো প্রতিষেধক না থাকায় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। 

Link copied!