আর এক দিন পর হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী সোমবার (১১ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বজনীন উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার এ উৎসবকে ঘিরে নীলফামারীতে জমে উঠেছে পূজামন্ডপ গুলো।
এদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবকে ঘিরে নীলফামারীর মন্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ।
মাটির কাজ শেষ করে এখন চলছে সাজসজ্জার কাজ। রঙের আঁচড়ে দেবী দুর্গাকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নানা রঙ-ঢঙে। পূজা ঘনিয়ে আসায় এখন রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি প্রতিমাকে রঙ-তুলির নিপুণ আঁচড়ে রাঙাতে ব্যস্ত শিল্পীরা। চলছে সাজ-সজ্জার কাজও। দেবী দুর্গার সঙ্গে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী আর সরস্বতী দেবীকেও। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই মৃৎশিল্পীদের। পুরুষদের কাজে সাহায্য করছে বাড়ির নারীরাও।
এ বছরে নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলায় মোট ৮৬৯ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজার উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষেয়ে নীলফামারী পুলিশ সুপার মোকলেছুর রহমান বলেন, “জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা বরাবরের ন্যায় এবারও পূজায় কোনো ধরনের শঙ্কা নেই। কোনোরকম নিরাপত্তা ঝুঁকি ছাড়াই যাতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনসাধারণ উৎসবের আবহে পূজা উদযাপন করতে পারেন সেজন্য জেলা পুলিশ সবসময় তাদের পাশে রয়েছে।”
তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে পূজায় আগত দর্শনার্থীদের সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করতে আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া পূজা উদযাপনে জেলা পুলিশ ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নির্বিঘ্নে সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপনের লক্ষে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। বাজারগুলোতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে পূজা উদযাপন এর সময় যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ কন্ট্রোল রুম নীলফামারী মোবাইল (০১৩২০১৩৬২৯৮) ও জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন কলের মাধ্যমে জানানোর জন্য বলা হয়।