জালিয়াতি করে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৬ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ২৬ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুদক থেকে মামলার বিষয়টি জানানো হয়। আসামির তালিকায় উপজেলার সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌরসভা কাউন্সিলরের নামও রয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ধর্মীয় সভার অনুকূলে প্রকল্পের আওতায় জিআরের ৫ হাজার ৮২৩ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পরের সহযোগিতায় জাল কাগজপত্র তৈরি করে। পরে গুদাম থেকে চাল খোলাবাজারে বিক্রি করে দেন। প্রতি টন চালের মূল্য ৩৭ হাজার ৮৩৬ টাকা হিসাবে ২২ কোটি ৩ লাখ ২১ হাজার ৫৯০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতারা বেগম, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর গোলাপী বেগম, কামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহেদ হোসেন চৌধুরী, কাটাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিক, শাখাহার ইউপি চেয়ারম্যান তাহাজুল ইসলাম, রাজাহার ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ সরকার, সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আলম, দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান আ র ম শরিফুল ইসলাম জজ, তালুককানুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক, নাকাই ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের প্রধান, রাখালবুরুজ ইউপি চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন, ফুলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মোল্লা, গুমানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোস্তফা জগলুল রশিদ রিপন, কামারদহ ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রতন, কোচাশহর ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন, শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মণ্ডল, মহিমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ প্রধান ও শালমারা ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন শামীম।