• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৭ মুহররম ১৪৪৬

শীতের শুরুতে গাছে ঝুলছে বাঙ্গি


রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২১, ১১:০৭ এএম
শীতের শুরুতে গাছে ঝুলছে বাঙ্গি

রাজবাড়ীর সদরের ভবানীপুর গ্রামে শীতের শুরুতেই গাছে ধরেছে বাঙ্গি। ভবানীপুর গ্রামের গোলাম মোর্শেদ কচির বাড়ির আঙ্গিনায় ছোট বালির ঢিবির ওপর এই বাঙ্গি গাছে ধরেছে ৪টি বাঙ্গি। গরমের ফল হলেও শীতের শুরুতে এই বাঙ্গি হওয়ায় কিছুটা আশ্চর্য এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে গোলাম মোর্শেদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গাছে ঝুলছে বড় বড় ৩টি বাঙ্গি। আরেকটি বাঙ্গি পেকে ফেটে যাওয়ায় সেটি তিনি গাছ থেকে কেটে ঘরে রেখেছেন খাবার জন্য। বাঙ্গিটির ওজন হয়েছে সাড়ে ৭ কেজি। গাছে থাকা বাঙ্গিগুলোর ওজনও এর কাছাকাছি। বাঙ্গিটি লম্বার সাড়ে ২৩ ইঞ্চি এবং চওড়ায় ২৩ ইঞ্চি। সাধারণত দেশে দুই ধরনের বাঙ্গি দেখা যায়। বেলে বাঙ্গি, এঁটেল বাঙ্গি। গোলাম মোর্শেদের বাড়ির বাঙ্গিটি বেলে বাঙ্গি।

বাংলাদেশে বাঙ্গির বীজ বপনের সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস। এবং এর ফলন হয় মার্চ থেকে। কিন্তু নভেম্বরেই গাছে বাঙ্গি ধরায় অবাক বাড়ির মালিক গোলাম মোর্শেদ কচি। তিনি বলেন, “গরমের সময় বাঙ্গি খেয়ে তার বীজ এখানে ফেলি। তারপর দেখি আস্তে আস্তে একটি গাছ হয়েছে। হালকা পরিচর্যা করতে থাকি গাছটির। ভেবেছিলাম সামনের বছর গরমের সময় গাছটিতে বাঙ্গি ধরবে। তবে, নভেম্বরের শুরুতেই গাছে বাঙ্গি দেখে বিস্মিত হই।”

নভেম্বরের বাঙ্গি দেখতে আসা স্থানীয় এলাকাবাসী তালহা বিন মাসুম বলেন, “বাঙ্গি আমরা সাধারণত গরমের সময় বাজারে দেখি। শীতের শুরুতে বাঙ্গির ফলন আমার দেখা নাই। বিষয়টি আমার জানাও ছিল না। তাই অবাক হয়েছি খবরটি শুনে। তাই এই বাড়িতে বাঙ্গি দেখতে এসেছি। বাঙ্গিগুলো বেশ বড়। এত বড় বাঙ্গি গরমের সময়ও বাজারেও দেখা যায় না তেমন।”

এ বিষয়ে রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস. এম. সহীদ নূর আকবরের কাছে জানতে চাইলে তিনি ফোনে জানান, “বিষয়টি বিরল নয়। বাঙ্গি এখন বারো মাসই গাছে ধরে। তবে, বাণিজ্যিক ভাবে এর ফলন সারাবছর না হওয়ায় বাজারের গরমের সময় ছাড়া দেখা যায় না।”

Link copied!