• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩০, ২২ রজব ১৪৪৬

উপজেলার বিদ্যালয়গুলো পাঠদানে প্রস্তুত


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১, ০৯:১৬ এএম
উপজেলার বিদ্যালয়গুলো পাঠদানে প্রস্তুত

দীর্ঘ ১৮ মাস পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে প্রস্তুতি। চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। পাঠদানে প্রস্তুত রয়েছেন স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৪ নম্বর কাদির হানিফ ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়,নোয়ান্নাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

কৃষ্ণরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, “বাচ্চারা স্কুলে আসবে অনেক দিন পর। বিদ্যালয় আঙিনায় তাদের ছোটাছুটি হবে। তাদের কলকাকলীতে আকাশ বাতাসে ভরে যাবে। বিদ্যালয় ফিরে পাবে সেই চিরচেনা পুরাতন পরিবেশ। এ জন্য বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার ও বাইরের পানির টেপগুলো ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে।”

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহসান উল্যা হেলাল বলেন, “দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর এ স্কুল খুলছে। এই দৃশ্য আমার চোখে ঈদের আনন্দের মতো। নতুন প্রেরণা, আবেগ ও উচ্ছ্বাসকে নতুন মাত্রা দেওয়ার মতো। এর মধ্যে খুঁজে পাবে নতুন প্রাণ। ছোট ছোট বাচ্চারা জুতা পায়ে, স্কুল  ড্রেস পরে আমাদের সোনামণিরা আবার স্কুলে আসবে। প্রাণ ফিরে পাবে আমাদের বিদ্যালয়।”

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, “আলস্য সময় পার করার পর অধীর আগ্রহে থাকা আমাদের প্রিয় শিক্ষকরাও বিদ্যালয়ে পাঠদানে ফিরছেন। এটা সবচেয়ে বড় ও খুশির সংবাদ। এজন্য আমাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদের কিছু বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে।  বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।”

“আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে হ্যান্ড স্যানেটাইজার ব্যবহারের জন্য রাখা হয়েছে।”

সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সিদ্দিকুর রহমান খান জানান, উপজেলার ১৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে জুম মিটিং করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে তাদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

Link copied!