ওয়ানডেতে ১১ ম্যাচ আনবিটেন থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠার মিশনে নামবে শ্রীলঙ্কা। এই ম্যচে দুই দলেরই লক্ষ্য সুপার ফোরে টিকিট নিশ্চিত করা। শ্রীলঙ্কার শুধু রাশিদ খান, নবীদের বিপক্ষে জয় পেলেই চলবে। আর আফগানদের শুধু জয় পেলেই হবে না লঙ্কানদের হারাতে হবে বড় ব্যবধানে।
এশিয়ান শেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে টিকে থাকতে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) লাহোরে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ৩ টায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামবে শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গেলে যে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হবে গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের। এমন অবস্থায় লঙ্কানদের চেয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে বাংলাদেশের সঙ্গী হবে আফগানিস্তান।
শ্রীলঙ্কা শেষ কবে ওয়ানডে হেরেছে, সেটি বোধ হয় লঙ্কানরা ভুলে গেছে। তারা ভুলে গেলেও তাদের মনে করে দেওয়ার জন্য আফগানিস্তান রয়েছে। কারণ আফগানদের বিপক্ষেই তো লঙ্কানরা শেষ ওয়ানডে হেরেছিল। চলতি বছরের জুনে রাজাপাকসে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সর্বশেষ আফগানদের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছিল এবারের এশিয়া কাপের সহ-আয়োজক দেশটি।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) আফগানিস্তানকে ৮৯ রানে হারিয়ে নেট রান রেটের হিসাবে সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ৮৯ রানের ব্যবধানটাই নিশ্চিত করে দিয়েছে নেট রান রেটে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান—দুই দলেরই পেছনে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই সাকিবদের।
বাংলাদেশের কাছে হেরে নিজেদের সুপার ফোরে উঠার কাজটা কঠিন করে ফেলেছে আফগানরা। মঙ্গলবার লঙ্কানদের সঙ্গে আগে ব্যাট করলে কমপক্ষে ৬০-৭০ রানে জিততে হবে আফগানিস্তানকে। আর শ্রীলঙ্কা প্রথম ব্যাট করলে আফগানদের জিতে হবে ৩৫ ওভারের মধ্যে। তবে শ্রীলঙ্কা ৩০০ করলে, ৩৮ ওভারের মধ্যে জিতে হবে শহীদিদের। তাহলেই তারা টিকে থাকতে পারবে এশিয়া কাপে। এই কঠিন সমীকরণ মাথায় নিয়ে মাঠে নামতে হবে আফগানদের।
আফগানদের সাহস জোগাতে পারে দুই দলের মুখোমুখি দেখায় সাম্প্রতিক ইতিহাস। গত ১০ মাসে ওয়ানডেতে দুই দল ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে, এর একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে। বাকি ৫ ম্যাচের ২টিতে জিতেছে আফগানিস্তান, ২টিই শ্রীলঙ্কার মাটিতে।
ইনজুরিতে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পেস বোলিং লাইন-আপ। দেশটির সেরা পেসাররা আছে দলের বাইরে। তবে ওই বোলিং আক্রমণ নিয়েই বাংলাদেশকে হারিয়েছে লঙ্কানরা। এটা ভুলে গেলে চলবে না আফগানদের।