বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না কাতার বিশ্বকাপের। মানবাধিকার লঙ্ঘন, মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা, সমকামীদের নিরাপত্তা না দেওয়ার ঘোষণাসহ নানাবিধ কারণে ইতিমধ্যে বিতর্কিত বিশ্বকাপে পরিণত হয়েছে এবারের আসর। তবে প্রথম থেকেই কাতারে সমস্ত সিদ্ধান্ত অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রনের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা।
কাতারে সমকামিতা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। বিশ্বজুড়ে যেসব সমকামী সমর্থক বিশ্বকাপ দেখতে কাতার যাবেন তারা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলে দায় নিবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল কাতার।
কাতারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমকামীদের সংঘটন বিশ্ব এলজিবিটি সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে বিশ্বকাপে ‘ওয়ান লাভ’ নামে বিশেষ আর্মব্যান্ড পড়ার ঘোষণা দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, সুইডেনের মতো দেশগুলো।
তবে প্রথম থেকেই এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল ফিফা। তবে ফিফার সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে এতদিন নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল ছিল দেশগুলো। ফিফার মতে আয়োজক দেশের আইন ও সংস্কৃতির প্রতি তারা অঙ্গীকারবদ্ধ। ফিফা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল তাদের নির্ধারণ করা আর্মব্যান্ড পড়েই নামতে হবে।
কিন্তু যদি এর বাইরে অন্য কোনো আর্মব্যান্ড পড়ে কেউ মাঠে নামনে তাহলে খেলার আগেই তাকে হলুদ কার্ড দেখানো হবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছিল ফিফা। এমনকি করা হতে পারে আর্থিক জরিমানাও।
ফিফার এরকম কঠোর অবস্থানের পর নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে দেশগুলো। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, কোনো দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন খেলোয়াড়দের কোনো শাস্তি বা নিষেধাজ্ঞার মুখে ঠেলে দিতে পারে না।। তাই তারা ফিফার নির্ধারণ করে দেওয়া আর্মব্যান্ড পড়েই মাঠে নামবেন।