প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ধরে রাখার অভিযানের প্রথম ম্যাচে নাটকীয় জয়ে শুরু করল লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে বোর্নমাউথকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের শুরুতে শ্রদ্ধা জানানো হয় লিভারপুলের সাবেক তারকা দিয়োগো জোতা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভাকে। জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান এই লিভারপুল তারকা।
এক মিনিট নীরবতা এবং ২০তম মিনিটে করতালির মধ্য দিয়ে তাদের স্মরণ করা হয়। জোতা একসময় লিভারপুলের ২০ নম্বর জার্সি পরতেন।
লিভারপুলের নতুন সাইনিং হুগো একিতিকে প্রথমে গোল করেন এবং পরে দ্বিতীয়ার্ধে কোডি গাকপোকে অ্যাসিস্ট করে ২-০তে এগিয়ে দেন দলকে। তবে বোর্নমাউথের আঁতোয়ান সেমেনিও দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত খেলে দুটি গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান।
শেষ দিকে নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচে ৮৮তম মিনিটে ফেদেরিকো কিয়েসা তার প্রথম প্রিমিয়ার লিগ গোল করে লিভারপুলকে ফের এগিয়ে নেন। এরপর যোগ করা সময়ে মোহাম্মদ সালাহ গোল করে জয়ের ব্যবধান বাড়ান।
এই ম্যাচে গোল করে ইতিহাস গড়েছেন মিসরীয় তারকা সালাহ। ইনজুরি সময়ে তার গোল লিভারপুলকে স্বস্তি দেওয়ার পাশাপাশি প্রিমিয়ার লিগ কিংবদন্তি অ্যান্ড্রু কোলের রেকর্ডে ভাগ বসাল।
থম দিনের রেকর্ডে রাজত্ব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি এদিন আরও কিছু মাইলফলক গড়েছেন সালাহ। অ্যানফিল্ডে এটি তাঁর ১০৬তম প্রিমিয়ার লিগ গোল। একক ভেন্যুতে গোল করার ক্ষেত্রে সালাহ ছুঁয়েছেন সের্হিও আগুয়েরোকে। আগুয়েরো ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে করেছিলেন ১০৬ গোল। এ তালিকায় কেবল থিয়েরি অঁরি এগিয়ে—তিনি আর্সেনালের মাঠ হাইবুরিতে করেন ১১৪ গোল।
এ ছাড়া প্রিমিয়ার লিগে গোলে অবদানে সালাহ ছুঁয়েছেন রায়ান গিগসকে। সালাহ লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত ২৮৯ ম্যাচে অংশ নিয়ে মোট ২৭১ গোলে অবদান রেখেছেন। এর মধ্যে ১৮৫টি গোল করার পাশাপাশি সহায়তা করেছেন আরও ৮৬ গোলে।
সালাহর এখন মোট ১৮৭টি লিগ গোল, যা তাকে সর্বকালের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতায় পরিণত করেছে। তার ওপরে রয়েছেন শুধু ওয়েইন রুনি (২০৮), হ্যারি কেইন (২১৩) ও অ্যালান শিয়ারার (২৬০)।
তবে জয়ের আনন্দের মাঝেই চিন্তার ভাঁজ লিভারপুল শিবিরে। কারণ, ডিফেন্সে বারবার ভেঙে পড়ছে দলটি। বোর্নমাউথের বিপক্ষেও দুটি গোল হজম করতে হয়েছে কাউন্টার অ্যাটাকে।
গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে তারা আক্রমণভাগে হুগো একিতিকে ও ফ্লোরিয়ান ভার্টজকে দলে নিলেও রক্ষণভাগ এখনো দুর্বল মনে হচ্ছে।