বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ৩ গভর্নর, সাবেক ৪ ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউর সাবেক ২ প্রধানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সম্প্রতি দেশের ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
সাবেক ৩ গভর্নর হচ্ছেন আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আবদুর রউফ তালুকদার। সাবেক ৪ ডেপুটি গভর্নর হলেন এস কে সুর চৌধুরী, এস এম মনিরুজ্জামান, কাজী সায়েদুর রহমান ও আবু ফারাহ মো. নাসের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ও ছয় ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে তাদের ব্যাংক হিসাবে অর্থ লেনদেন, হিসাব খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে বুধবার ব্যাংকগুলোকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদারের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এর তিন দিন পর ৯ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এক পৃষ্ঠার পদত্যাগপত্রে তিনি পদত্যাগের জন্য ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা উল্লেখ করেন। যদিও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন আব্দুর রউফ তালুকদার। সাবেক দুই গভর্নর আতিউর রহমান ও ফজলে কবিরকেও গত এক বছরে প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। এই তিন সাবেক গভর্নর গত আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে দেড় দশকে গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়া সাবেক যে ডেপুটি গভর্নরদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, তারা হলেন সরকার পতনের পর দুদকের মামলায় জেলে থাকা এস কে সুর চৌধুরী এবং বিএফআইইউর প্রধান থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া মো. মাসুদ বিশ্বাস। বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের।