যাদের কাছে পাকিস্তান এর আগে কোন টেস্টেই পারজিত হয়নি, সেই বাংলাদেশের কাছে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হেরেছে ০-২ ব্যবধানে। আর তাতেই বড় ধরনের চাপের মধ্যে পড়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্মকর্তারাও অত্যন্ত বিরক্ত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ের আগে তাই একটি বিশেষ শিবির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। সেখানেই ঠিক হতে পারে শান মাসুদ, বাবর আজমদের ভবিষ্যৎ।
ক্রিকেটারদের শৃঙ্খলায় বাঁধতে পরিকল্পনা করছেন পিসিবি কর্তারা। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইংল্যান্ড সিরিজ়ের আগে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন পিসিবি কর্তারা। এক দিনের একটি বিশেষ শিবির আয়োজন করা হবে। অনেকে যাকে বিশেষ সভাও বলছেন।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ওই বিশেষ সভা ডাকতে পারেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। পাকিস্তানের সাদা বলের ক্রিকেট কোচ গ্যারি কার্স্টেন, টেস্ট কোচ জেসন গিলেসপি, জাতীয় দলের সব ক্রিকেটার, ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম সারির ক্রিকেটার এবং বোর্ড কর্তারা থাকবেন সভায়। ডাকা হতে পারে জাতীয় দলের সাপোর্ট স্টাফ এবং জাতীয় নির্বাচকদেরও।
পাকিস্তানের একটি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আবার নেতৃত্ব হারাতে পারেন বাবর। তার নেতত্বে এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পর পর ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। তা ছাড়া নিজেও বেশ কিছু দিন ধরে ফর্মে নেই বাবর। তার পরিবর্তে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মুহম্মদ রিজওয়ানকে সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক করা হতে পারে। তবে শান মাসুদকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
কার্স্টেন এবং গিলেসপির দেওয়া রিপোর্ট পেয়ে পিসিবি কর্তারা হতাশ। দু’জনই জাতীয় দলের একাধিক ক্রিকেটারের ফিটনেস নিয়ে বিরক্ত। কয়েক জন প্রথম সারির ক্রিকেটারের দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কোচেরা। মনে করা হচ্ছে, ২২ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে ক্রিকেটারদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে। দেশের হয়ে খেলতে হলে কী কী শর্তপূরণ করে চলতে হবে জানিয়ে দেওয়া হবে। অতীত পারফরম্যান্সের সুবাদে দলে জায়গা ধরে রাখার সুখের দিন শেষ হতে চলেছে বাবরদের।