সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান। টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান বাবার আজম ও আব্দুল্লাহ শফিকের হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিক ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২রান তোলে ৯২-এর চ্যাম্পিয়নরা।
চেন্নাইয়ের উইকেট স্পিন সহায়ক। সেই কথা মাথায় রেখে একজন পেসারকে বসিয়ে অভিষেক করান হয় রিস্ট স্পিনার নূর আহমেদকে। পরিবর্তন আনা হয় পাকিস্তান শিবিরেও। এক ম্যাচ পরই দলে ব্যাক করানো হয় সাদাব খানকে। টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের হয়ে শুরুটা করেন আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক। দেখে শুনে শুরুটা করেন এই দুই ওপেনার। ওভারপ্রতি রান তোলে পাচেঁর ওপরে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে তোলেন ৫৬ রান। এরপরই বিদায় নেন ইমাম। ১৭ রান করা ইমাম উল হককে ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
এরপর আব্দুল্লাহ শফিককে সঙ্গ দিতে আসেন অধিনায়ক বাবর আজম। বাবরকে নিয়ে ভালোই জুটি গড়েন শফিক। তুলেহাফসেঞ্চুরিও। বাবরের সঙ্গে গড়া ৫৪ রানের জুটিটি ভাঙেন বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া নূর আহমেদ। ফেরান ৫৮ করা আব্দুল্লাহ শফিককে। উইকেটে আসা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে থিতু হবার আগেই ফেরান নূর। তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। তার বলে আউট হবার আগে রিজওয়ান করেন ৮ রান।
এরপর পাকিস্তান অধিনায়ক প্রথমে সৌদ শাকিল ও পরে সাদাব খানের সঙ্গে ৪৩ রানের দুটি জুটি গড়েন। বাবর ফাঁকে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরিও। সৌদ শাকিলের সঙ্গে বাবরের জুটিটা ভাঙে মোহাম্মদ নবী। ফেরান ২৫ রান করা শাকিলকে। এরপর নূর ভাঙেন সাদাব-বাবর জুটি। ৯২ বলে ৭৪ রান করে বাবর ফেরেন নূরের তৃতীয় শিকার হয়ে।
বাবর যখন ফিরেন তখন দলীয় রান ২০৫ আর তখনও ম্যাচের বাকি ছিল ৪৯ বল। ব্যাটিংয়ে নেমেই সাদাবের সঙ্গে মারমুখী হয়ে ব্যাট করতে থাকেন ইফতিখার আহমেদ। তারা ৪৫ বলে তোলেন ৭৩ রান। ম্যাচের ৫০ তম ওভারের প্রথম বলেে ৪০ রান করা ইফতিখারকে ফেরান নাভিন উল হক। তার বিদায়ের পর শেষ পাঁচ বলে পাকিস্তান তোলে তিন রান। পাকিস্তানের ইনিংস থাকে ২৮২ রানে। সাদাব শেষ বলে আউট হবার আগে করেন ৪০ রান। আফগানদের সফল বোলার নূর আহমেদ। ১০ ওভারে ৪৯ রানে নেন তিন উইকেট।