আবারও ব্যর্থ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তাদের ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারপরও বাংলাদেশের স্কোর দুইশর গণ্ডি পেরিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফসেঞ্চুরি ও সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের ৪০ ঊর্ধ্বে ইনিংসের সুবাদে। শেষ পর্যন্ত ৪৫.১ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান তোলে টাইগাররা। ২৯ বল বাকি ছিল ম্যাচের।
নতুন বলে বরাবরিই ভয়ঙ্কর শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার বলে উইকেটে দেখে শুনে খেলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু সেটি করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান তামিমকে আউট করেন আফ্রিদি। ৫ বলে শূন্য রান করে এলবিডব্লিউ হন তিনি। রিভিউ নিলেও আম্পায়ারস কলে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
এক ওভার বিরতি দিয়ে আবার বোলিংয়ে এসে এবার নাজমুল হোসেন শান্তকে আউট করেন আফ্রিদি। একটি চার মেরে আত্মবিশ্বাসের আভাস দিলেও ৩ বলে ৪ রান করে ফরওয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়ানো উসামা মিরের হাতে ক্যাচ দেন। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম হারিস রউফের শিকার হলে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। ৮ বলে ৫ রান করে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে।
বিপর্যস্ত বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং হাল ধরেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নিজেকে উইকেটে থিতু করে লিটন খেলেন দারুণ কিছু শট। এই দুই ব্যাটারের জুটিতে আসছিল রানও। কিন্তু ৬ চারে ৬৪ বলে ৪৫ রান করে ইফতেখার আহমেদের বলে শট খেলতে গিয়েও ব্যাটের ফেস অফ করে দেন, এরপর মাথায় লেগে ক্যাচ যায় আগা সালমানের হাতে। ৮৯ বলে ৭৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটিরও অবসান ঘটে তাতে।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গী হন সাকিব আল হাসান। শুরুতে কিছুতেই রান তুলতে পারছিলেন না তিনি। বহু চেষ্টার পরও দেখা মিলছিল না সিঙ্গেলসের। ওই চাপ কিছুটা পড়ে মাহমুদউল্লাহর ওপরও। তার স্ট্রাইক রেট কমে যায়, পরে হন আউট। আফ্রিদির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭০ বলে ৫৬ রান করেন তিনি।
সাকিব এরপর ব্যাটিংয়ে কিছুটা ছন্দ খুঁজে পান। ৫৩ বলে ২৬ রান করার পর ৩৭তম ওভারে ইফতেখার আহমেদকে টানা তিন বলে বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু ওই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। হারিস রউফের বলে আগা সালমানের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪ চারে ৬৪ বলে ৪৩ রান করে আউট হন তিনি।
মাঝে বাদ পড়া তাওহীদ হৃদয় সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। তিন বলের মধ্যে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে আউট হন। উসামা মীরকে ছক্কা মারার পরের বলে আবারও তুলে মারতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন। আট নম্বরে নামা মিরাজ ৩০ বলে ২৫ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে তিন উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।