শুরু হয়েছে ১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ। কিন্তু বৈশ্বিক এই আসরের প্রথম ম্যাচটিতেই ফাঁকা দেখা গেছে গ্যালারির অধিকাংশ আসন। ম্যাচটির আগে বিনামূল্যে টিকিট এবং পানীয় দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু খেলা শুরু হলে দেখা যায় বেশিরভাগ আসনই খালি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। উদ্বোধনী এই ম্যাচে আহমেদাবাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার নারীকে ফ্রিতে খেলা দেখার ব্যবস্থা করেছে আয়োজক কমিটি। কিন্তু এরপরেও গ্যালারির আসন পূর্ণ করতে পারেনি বিসিসিআই।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একসঙ্গে ১ লাখ ৩৪ হাজার দর্শক বসে খেলা দেখার সুযোগ রয়েছে। এবারের বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে। উদ্বোধনী ম্যাচকে ঘিরে বিনামূল্যে টিকিট প্রদানের পাশাপাশি চা ও লাঞ্চের কুপনও দিয়েছে আয়োজক দেশটি।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, আহমেদাবাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার নারী এই ম্যাচ ফ্রি টিকিটে গ্যালারিতে বসে দেখবেন। তবে অন্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সব টিকিট বিক্রি না হওয়ায় গ্যালারি ভরতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
গ্যালারি পূর্ণ করতে বিজেপির নেতারা নিজ নিজ এলাকায় আগেই নারীদের একটি তালিকা করে রেখেছিলেন। আহমেদাবাদের বোদাকদেভ অঞ্চলে বিজেপির সহ-সভাপতি ললিত ভাধাওয়ান জানিয়েছেন, গত মাসে পার্লামেন্টে নারীদের রিজার্ভেশন বিল পাস হয়। এটাকে প্রেরণা হিসেবে ধরেই নারী ক্রিকেটপ্রেমীদের গ্যালারিতে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে খেলা শুরু হলে গ্যালারির আসন খালি দেখে হতাশ হয়েছেন ক্রিকেট ভক্তরা। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে অনেকে বিশ্বকাপের খেলা দেখতে ইচ্ছুক হলেও ভিসা জটিলতার কারণে দেশটিতে ভ্রমণ করতে পারেননি। এ দিকে উদ্বোধনী ম্যাচটিতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু দর্শক মাঠে আসলেও তখনও খালি থেকে যায় গ্যালারির অনেক আসন।
এদিকে, বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের ফাঁকা গ্যালারি নিয়ে ভারতকে খোঁচাও দিচ্ছেন কিছু পাকিস্তানি সমর্থক। গত ৩০ আগস্ট এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান–নেপাল। মুলতানে হওয়া সেই ম্যাচে গ্যালারি ফাঁকা নিয়ে টুইট করেছিলেন ভারতীয়রা। সেটাই মনে করিয়ে দিয়ে এখন ‘প্রতিশোধ’ নিচ্ছেন পাকিস্তানিরা।