নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শিরোপা জিতে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। দেশে ফিরেই অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি জানিয়েছেন, আর বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলতে চান না তারা। সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ চান।
নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব মানেই বাংলাদেশি মেয়েদের জয়জয়কার। সবসময়ই বাছাইপর্বের বাধা টপকে বিশ্বকাপে খেলা বাংলাদেশি মেয়েরা আর এই পর্ব খেলতে চায় না।
এই বিষয়ে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, “আমরা কিন্তু যাওয়ার আগেই বলে গিয়েছিলাম আমরা আর কোয়ালিফাই (বাছাই পর্ব) খেলতে চাই না। যেহেতু আমরা এফটিপিতে আছি তাই বাইরের টি-টোয়েন্টি সিরিজ গুলো খেলব। তাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে অবশ্যই সিরিজ নেওয়ার এবং জেতার।”
সর্বশেষ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলায় আইসিসি ভবিষ্যত সফর সূচিতে (এফটিপি) অন্তর্ভূক্ত হয়েছে বাংলাদেশের নাম। এফটিপিতে দারুণ পারফর্ম করতে পারলে বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে পারবে বলে বিশ্বাস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, “এর ফলে আমরা যদি র্যাংকিং এ এগিয়ে যেতে পারি আমাদেরকে আর কোয়ালিফাই খেলতে হচ্ছে না। আশা করছি এই পরিকল্পনায় আমাদের ক্রিকেট বোর্ড এগোচ্ছে এবং আমরাও সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।”
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সিনিয়র ক্রিকেটারদের পাশাপাশি দলের জয়ে অবদান রেখেছিলেন জুনিয়র ক্রিকেটাররা। বয়স বাড়ার সাথে অনেকে সিনিয়র ক্রিকেটারই আছেন বিদায় জানানোর দ্বারপ্রান্তে। বিষয়টি সবার নিজের সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।
বলেন, “প্রথমত এটা কিন্তু বলা যায় না যে এটা কার শেষ বিশ্বকাপ। এখানে অনেক সময় খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত একটা সিদ্ধান্ত থাকে। এখানে যারা সিনিয়র খেলোয়াড় আছেন তারা কিন্তু ভালো পারফর্ম করে দলের জন্য খেলে যাচ্ছেন। বিশেষ করে আমি যদি বলি রুমানা আহমেদ প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন।”
তিনি আরো বলেন, “সালমা আপু কিন্তু ধারাবাহিকভাবে দলের জন্য ভালো বল করে যাচ্ছেন। তাই আমি বলব সিনিয়ররাই কিন্তু একটা ভীত করে দিয়ে যাচ্ছেন। এবং তাদের হাত ধরেই কিন্তু জুনিয়ররা উঠে আসছে তারাও কিন্তু ভালো পারফরম্যান্স করছে।”