নানা নাটকীয়তার পর এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে ম্যাচ। তবে বিলম্বিত ম্যাচে আর খুব বেশি অনিশ্চয়তা-নাটকীয়তার দেখা মিলল না। দুবাইয়ে ফেবারিট হিসেবে মাঠে নেমে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৪১ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।
এই জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করেছে সালমান আগার দল। ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেরা চারে জায়গা করেছে ভারতও। যার অর্থ, ২১ সেপ্টেম্বর আবারও মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান।
বুধবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাকিস্তান-আরব আমিরাত ম্যাচ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান গ্রুপ ম্যাচের ঘটনার জেরে। সেদিন ভারতের খেলোয়াড়েরা পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ম্যাচের শুরু ও শেষে হাত না মেলানোয় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পাইক্রফট টসের সময় অধিনায়ককে হাত না মেলানোর পরামর্শ দিয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন অভিযোগ তুলে তার অপসারণ চেয়ে রীতিমতো এশিয়া কাপ বর্জনের আবহ তৈরি করে পিসিবি।
শেষ পর্যন্ত পাইক্রফটের ক্ষমা প্রার্থনায় গতকাল তাঁর পরিচালনায় আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান। তবে খেলতে নামার সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনার জন্য এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয় ম্যাচ শুরুর সময়।
দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে আমিরাত অধিনায়ক টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। ফখর জামানের ৩৬ বলে ৫০ আর শেষ দিকে শাহিন আফ্রিদির ১৪ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৬। মূলত আফ্রিদির শেষ দিকের ঝোড়ো ব্যাটিংই পাকিস্তানের রান দেড় শর কাছাকাছি নিয়ে যায়।
এরপর রান তাড়ায় নামা আমিরাত ব্যাটিংকেও বড় ধাক্কা দেন আফ্রিদি। শুরুতেই ফেরান আমিরাত ওপেনার আলিশান শরাফুকে। পরে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে নেন আরও এক উইকেট। এর মাঝে রাহুল চোপড়া ও ধ্রুব পারাশার চতুর্থ উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে কিছুটা ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। তবে আফ্রিদির মতো হারিস রউফ, আবরার আহমেদরাও দুটি করে উইকেট নিলে এবং শেষ দিকে দুটি রানআউট হলে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আমিরাতের ইনিংস।
‘এ’ গ্রুপে তিন ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট হয়েছে পাকিস্তানের। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট ভারতের। আরব আমিরাত ৩ ম্যাচে ২ আর ওমান ২ ম্যাচে ০ পয়েন্ট নিয়ে ছিটকে পড়েছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৬/৯ (ফখর ৫০, আফ্রিদি ২৯*, সালমান ২০; জুনাইদ ৪/১৮, সিমরানজিৎ ৩/২৬)।
আরব আমিরাত: ১৭.৪ ওভারে ১০৫ (চোপড়া ৩৫, পারাশার ২০; আবরার ২/১৩, আফ্রিদি ২/১৬, রউফ ২/১৯)।
ফল: পাকিস্তান ৪১ রানে জয়ী।